ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর, স্থগিত পরীক্ষা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর, স্থগিত পরীক্ষা

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনরত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজে চলমান অনার্স প্রথম বর্ষের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে, দুপুর দুইটায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটলে অপর পক্ষের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঢুকে পড়ে।

এসময় কলেজটিতে অনার্স প্রথম বর্ষের ইতিহাস পরীক্ষা চলছিলো। কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এই কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। ১২ টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া পরীক্ষা দুই ঘণ্টা চলার পর নিরাপত্তার স্বার্থে স্থগিত করা হয়।

কবি নজরুল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা দেড়ঘণ্টা চলার পর আমরা ভাঙচুরের শব্দ পাই। এরপর দুই ঘণ্টা পর হলে আড়াইটা নাগাদ শিক্ষকরা পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে।

কলেজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢুকে পড়ায় পরীক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এসময় কলেজের উপাধ্যক্ষের রুমসহ অধিকাংশ কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। কলেজ প্রাঙ্গণে থাকা একটি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সে, ২ টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একইসাথে, কলেজের ট্রফি, চেয়ারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে শিক্ষক ও স্টাফদের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গণ ছেড়ে দেন।

হামলার বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি। একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বড় ক্ষতি হয়ে গেল। একটি পাবলিক পরীক্ষা চলমান ছিল। তারপরও কেন হামলার ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।

ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তিনি বলেন, কলেজের কোনো অফিস এবং কোনো বিভাগের কক্ষই অক্ষত নেই। পুরো কলেজ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দুজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কলেজের গাড়িটিও ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ পরে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অভিজিৎ হালদার (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ভুল চিকিৎসা ও অনিয়মের অভিযোগ হাসপাতালের প্রধান ফটক আটকে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। 

আরবি/এস

Link copied!