রাজধানী উত্তরায় ১৯ নভেম্বর শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত হাসপাতালের নিচ তলায় অবস্থিত মেসার্স তারেক মেডিকেল এর পরিচালিত হাসপাতাল ফার্মেসীর মালিক পারভেজ জানায়, ড্যাব নেতা মোদাচ্ছের হোসেন দলবোল লোকজন ডা. জুয়েল, ডাক্তার রায়হানসহ ১০/১৫ জন তার ঔষধের দোকানের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ক্যাশ বাক্স ভেঙে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করছে নিয়ে যায়। শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল হাসপাতাল এটি ১০ নং রোড, হাউজ নং ২৬-২৬/এ উত্তরা ১১ নং সেক্টরে অবস্থিত।
এ বিষয়ে হাসপাতালের জিএম এডমিন সাদাফ বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে বহিরাগত সাবেক কর্মচারী, সাবেক ডাক্তার ও ড্যাবের নেতার লোকজন ডা. গোলাম কিবরিয়া, ডা. রায়হান ড. লিন্জা, ডা. জুয়েল ও বহিষ্কৃত ছাত্র হাসিবুর রহমান রূদ্রসহ ৪০-৫০ জনের একটি বাহিনী শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায়।
এ সময় তারা হাসপাতালের সিইও সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সিকিউরিটি গার্ডকে বেদম মারধর করে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে মারধর করেন এবং জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মওলা সাহেব এসে তাদের সিইও সাবেক লে. কর্নেল নওসের স্যারকে মারতে শুরু করেন,সে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর শুরু করেন। তখন সিইও তাকে বলে কাগজে সই করে চলে যাও।
জানা যায়, সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের সিসিটিভি স্টোরেজ রুম ভেঙে ডিবিআর নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় ফোন করে জানালে ঘটনাস্থলে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এঘটনায় হাসপাতালে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়ে হাসপাতালের সকল ডিপার্টমেন্টে তালা মেরে ডাক্তার এবং কর্মকর্তারা সবাই চলে গেছে ।
এ সময় ঔষধের দোকানে মালিক পারভেজ বলেন, হঠাৎ ১০-১৫ জন লোক দেশীয় অস্রহাতে তার দোকানে দরজার গ্লাস ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় দোকানের কর্মচারীরা ভীত হয়ে উঠে।
এ সুযোগে তারা দোকানের ভিতরে ঢুকে কর্মচারীদের মারধর করে ক্যাশ বাক্স থেকে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এতো টাকা ক্যাশে ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন,তারা ঔষধ বিক্রির টাকা জমা করে রাখেন সেই টাকা সপ্তাহে একদিন কম্পানীকে পেমেন্ট করেন। তিনি আরো বলেন, পুলিশ এসে দেখে গেছেন, তবে তারা এ ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করবেন বলে নিশ্চিত করে।
মনসুর আলী মেডিকেল হাসপাতালের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইসরাত হোসেন ঘটনার বিষয় স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালের ক্ষয় ক্ষতি নিরুপম করে তাদের লিগ্যাল এডভোকেটের সাথে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নিবেন।
বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থাবার অফিস ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তিবি নিজেই মুনসুর আলী মেডিকেল হাসপাতালে গিয়েছেন। তারা যাওয়ার আগেই সন্রাসীরা চলে গেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।
আপনার মতামত লিখুন :