বিগত স্বৈরচার সরকারের সময়ে দেশের সংস্কৃতিক অঙ্গন এবং সংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা হয়েছিল। দলীয় মতাদর্শের বাইরের হলে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ্যতা থাকার পরও অনেক জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী, নাট্যকার, অভিনেতা অভিনেত্রীদের বিটিভিসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর সরকার পরিবতন হলে দেশের মানুষ নতুন স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে শুরু করে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের অর্জন এটা ধরে রাখতে পারলে স্বৈরচার গোষ্ঠী আবার সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন শুরু করবে। এ ক্ষেত্রে সংস্কৃতিক কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও জাতীয় কবিত মঞ্চ চট্টগ্রাম আয়োজিত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সোমবার বিকাল চারটায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিল্পপতি আলহাজ¦ শামশুল আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্তা কথাগুলো বলেন।
প্রধান আলোচক বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম পরিচালক ও গীতিকার মো. মাহফুজুল হক বলেন, আমি সংগীতকে ভালোবাসি আমি সংগীতের মানুষ। সংগীতের সাথে যারা জড়িত তাদের সাথে আমার আত্মার সর্ম্পক। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানগুলো চট্টগ্রামের মানুষ ছাড়াও সারা দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়।
উদ্বোধক জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি ও গীতিকার মাহমুদুল হাসান নিজামী বলেন, সাহিত্য সংস্কৃতি হচ্ছে একটা জাতির প্রাণ। সাহিত্য সংস্কৃতি ধ্বংশ হয়ে গেলে পুরো জাতি ধ্বংশ হয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথি নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা বলেন, সংগীত শিল্পী, অভিনেতা, কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীদের জন্য বিএনপি সরকার যেটা করেছে সেটা কোন সরকার করেনি। বিএনপি সরকার ছিল সংস্কৃতিক বান্ধব সরকার, বিএনপি দলীয়ভাবে সংস্কৃতিক কর্মীদেও পাশে সব ছিল আছে এবং আগামীতেও থাকবে।
জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি কামরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রীতি সম্মিলনী-২০২৫ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মো. মাহফুজুল হক, উদ্বোধক ছিলেন জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি ও গীতিকার মাহমুদুল হাসান নিজামী, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা, এনুমিয়া আয়শাখাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাহী, জামালখান ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুস সালাম নিশাদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি এম হাশেম আকাশ, জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক গীতিকার নজরুল ইসলাম, কবি সুলতান আহমেদ কমল, বিটিভি ও বেতারের সুরকার ও গীতিকার সংগীত গুরু দিলীপ ভারতী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক যুগ্ম পরিচালক ফজল আহমেদ, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য দিপক কুমার পালিত, এডিশনাল পিপি এডভোকেট আবু তাহের চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার শিল্পী মৌ চৌধুরী, চন্দনা চক্রবর্ত্তী, সুকুমার দে, লালন শিল্পী লুপর্ণা মুৎসুর্দ্দী লোপা, গীতা আচার্য্য, মিলন আচার্য, এস, কে মানিক, জুয়েল দ্বীপ, সুধামা দাশ সুজন, রুপনা দাশ, বেবি মজুমদার নুপুর, আবৃত্তিকার উপস্থাপক সুমন দত্ত, কৌতুক অভিনেতা আয়মান ওসমান, সংগীত শিল্পী এস আই রানা, পাপড়ী বৈরাগী, রঞ্জন মালাকার, ম্যানেজার মতিউর রহমান ফরহাদী, নারী নেত্রী জন্নাতুন নাঈম চৌধুরী রিকু, কবি তানিয়া সুলতানা, সাবেক সমবায় অফিসার শহীদুল ইসলাম, রাজিব ধর তমাল, সংস্কৃতিক কর্মী মোস্তফা কামাল, রাজনীতিবদ ও সংস্কৃতিক কর্মী নাসির উদ্দীন আহমেদ, শিক্ষক মিন্টু কুমার দাশ, নাট্যকার সাজু বড়ুয়া, শাহিন ইসলাম, মৌ মনি চৌধুরী, লাকী দত্ত, সংগীত শিল্পী খোকন মুজমদার রাজিব, সমীর পাল, নারী নেত্রী রোজি চৌধুরী, নাট্যকার সেলিম উদ্দীন, নাট্যকার মোহাম্মদ মহসিন, সংস্কৃতিক কর্মী সুলতান শাহা, দোলন, বিএনপি নেতা শাহজাহান, যুবদল নেতা মোস্তাক তালুকদার নয়ন, মোহাম্মদ নুরুদ্দীন, সংস্কৃতিক কর্মী মানস চৌধুরী, মুরাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আরিফ, সংগীত শিল্পী শ্যামল মিত্র, লাকী দত্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি ও আবৃত্তিকার সোমা মুৎসুর্দ্দী ও আবৃত্তিকার সুমন দত্ত।
আপনার মতামত লিখুন :