দীর্ঘদিন ধরে সড়ক দখল করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাজার। যে কারণে যানজট লেগে থাকে সব সময়। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ফলে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক।
এই অবস্থা বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা ভায়া ভবানীপুর আঞ্চলিক সড়কের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়ক থেকে মৎস্য অফিস পর্যন্ত এই সড়কের দুই পাশেই প্রতিদিন বসে শাকসবজিসহ হরেক রকমের দোকানপাট। ফলে প্রশস্ত এই সড়ক সংকুচিত হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সড়কের দু’পাশের প্রশস্ত ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট বসায় স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হয়। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত সিএনজি, ভ্যান, রিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল করায় সড়কটিতে প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। এ নিয়ে প্রায়ই পথচারী ও চালকদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ আলী, বেলাল হোসেনসহ একাধিক পথচারী ও উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলীমুল রেজা হিটলার জানান, বর্তমানে এ এলাকায় ৫০ টির অধিক অটো রাইস মিল ও ড্রায়ার অটো রাইস মিল রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।
এসব রাইস মিলের ধান-চাউল আনা নেওয়ার সময় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তারা আরও জানান, এটি আঞ্চলিক হলেও অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক। কারণ কথিত আছে এই এলাকা শেরপুর উপজেলা শহরের শিল্পাঞ্চল। তা ছাড়াও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপমহাদেশের ঐতিহাসিক তীর্থস্থান মা ভবানীপুর মন্দিরে যাতায়াতের রাস্তা এটি এবং এই এলাকায় হাতিগারা নামক স্থানে একটি বিনোদন পার্ক রয়েছে। পার্কটিতে এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে রাস্তার দুই পাশে নির্মাণাধীন মার্কেটের মালিক ও পজিশন ভাড়াটিয়ারা অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে বসা এসব দোকানপাটের সুবিধাভোগী। তাদের পজিশনের সামনে সরকারি রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দোকান বসানোর সুযোগ দিয়ে ভাড়া আদায় করে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা ।
বিষয়টি নিয়ে শেরুয়া বটতলা বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল বারী মির্জা ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারী এসব ব্যবসায়ীদের বার বার নোটিশ দেওয়ার পরেও তারা কর্ণপাত করে না। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :