কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুইদিনে শিয়ালে কামড়ে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন ও ৯ ফেব্রুয়ারি ১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন৷
আহতরা হলেন- শহরের কমলপুর এলাকার ঝড়না বেগম (৫৫), শফিক মিয়া (৫০), ফরিদ মিয়া (৬৫), রুনা (৩৫), বৃষ্টি আক্তার (৩০), ৬ বছরের শিশু আদিবা, রিনা বেগম (৩৬), উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার জেসমিন বেগম (২৮) ও শিমুলকান্দি গোছামারা গ্রামের বাসিন্দা ওয়াজ উদ্দিন (৬৫)।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ওয়াজ উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা আহত অন্যান্যরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার গোছামারা গ্রামে কৃষক ওয়াজ উদ্দিন বাড়ির পাশে জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন৷ হঠাৎ একটি শেয়াল দৌড়ে এসে তাকে কামড়ানো শুরু করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে শিয়ালটিকে ধাওয়া করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ওয়াজ উদ্দিনকে উদ্ধার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ দিকে ওইদিন দিবাগত মধ্যরাতে শহরের কমলপুর পশ্চিম পাড়া, নিউটাউন ও আমলা পাড়া এলাকায় শিয়ালের কামড়ে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিউটাউন এলাকার লোকজন একটি পাগলা কুকুরকে মেরে ফেলেছেন। সোমবার ৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।
আহতের স্বজন সাব্বির হোসেন সামির বলেন, রাতে কমলপুর এলাকায় শিয়ালে আতঙ্কে ঘুমাতে পারিনি। আমার আত্মীয় বৃষ্টি এবং হালিম মিয়া ও এলাকার বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে একটি পাগলা শিয়ালে কামড় দিয়েছে। শুনেছি নিউটাউন এলাকায় একটি পাগলা শিয়ালকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারিয়া নাজমুন প্রভা বলেন, আহত ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল ১ জনকে ঢাকায় পাঠানে হয়েছে। শিয়াল ও কুকুরের কামড়ে আহত হলে অবশ্যই ক্ষতস্থান প্রাথমিকভাবে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে ভ্যাকসিন নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :