শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম

চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম

চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

অভিযুক্ত যুবক মোঃ দিদার। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা। অভিযুক্ত যুবকের নাম মোঃ দিদার (২২) সে পৌর শহরের নগুয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।

অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। ভুক্তভোগী ওই শিশু স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় কেজি শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। অভিযুক্ত যুবক দিদারের নামে মামলা থাকায় তার পিতার অপর একটি বাসা ভুক্তভোগী শিশু’র বাসার পাশে হওয়ায় সেখানে একা আত্মগোপনে থাকেন।

এই সুযোগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শিশুটি খেলা করার সময় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে খালি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার ফলে রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় পরিবারের লোকজনকে না বলার জন্য শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। বাসায় এসে প্রচণ্ড ব্যাথায় কাতরাতে থাকে শিশু। বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটির মা শরীরে রক্তের দাগ দেখতে পায়। পরক্ষনই প্রচন্ড রক্তক্ষরণ দেখে শিশুর সাথে কথা বলে ধর্ষনের বিষয় জানতে পারেন।

পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ভুক্তভোগী শিশুর পিতা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানির চাকরির সুবাদে নগুয়া এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি। দিনের বেশি সময় বাসার বাহিরে থাকতে হয়। আমার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে বাসায় থাকেন। প্রতিদিনই বিকেলে মেয়েটি অন্য শিশুদের সাথে খেলাধুলা করে। কিন্তু সোমবার দিনের এই ঘটনা কিছুতেই মানতে পারছি না। আমার বাড়ি নড়াইলে এখানে আপনজন কেউ নেই। আমার শিশু মেয়েটিকে কি অপরাধে এমন করলো জানি না। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি। বিচার পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার রাতে অভিযুক্ত দিদারের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। পুলিশের উপস্থিতি দেখে সে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীর পিতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!