বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২৫
পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচন

বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের সংঘর্ষ

রইসুল ইমন, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম

বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের সংঘর্ষ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম কিনতে জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের বাঁধা দেয়াসহ হামলা করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।

জামায়াত পন্থী আইনজীবীদের অভিযোগ, মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। এসময় তাদের  মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। হামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) ও জামায়াত নেতা এডভোকেট রুহুল আমিন, পৌর জামায়াতের ৬নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি এডভোকেট মো. মহিউদ্দিন ও জামায়াত কর্মী গাজী মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির আহত হন। এরমধ্যে গুরুতর আহত এডভোকেট রুহুল আমিনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আজ বিকেল ৩ টায় ৯টি পদের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও দাখিলের শেষ সময় ছিল। জামায়াত সমর্থিত জেলা ল‍‍`ইয়ার্স কাউন্সিল উক্ত ৯টি পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে চাইলেও ৬টি পদে মনোনয়ন পত্র বিক্রি করে নির্বাচন কমিশন। সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও  সদস্য পদে মনোনয়ন চাইলে জামায়াত সমর্থিত ল‍‍`ইয়ার্স কাউন্সিল আইনজীবীদের ওপর ওই হামলা চালানো হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার ফরম ক্রয় ও দাখিলে দিন ধার্য ছিল। দুপুর ১২টার পরে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আহসান, পিপি রুহুল আমিন সহ ৯ জন আইনজীবী ফরম ক্রয় ও দাখিলের জন্য আইনজীবী সমিতির ভবনে উপস্থিত হন। 

এ সময় বিএনপি সমর্থীত আইনজীবী কালাম ওরফে জাসদ কালাম, শরীফ সালাউদ্দিন, মাহাবুবুর রহমান সুজন, আরিফুর রহমান রিয়াজসহ বিএনপির সমর্থীত  অন্তত ৫০ জন আইনজীবী ফরম ক্রয়ে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে তাদের উপর হামলা চালায় বিএনপিপন্থী অভিযুক্ত আইনজীবীরা। 

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমমিতির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন তপন জানান, জামায়াত পন্থী আইনজীবীরা অনেকেই মনোনয়ন কিনেছেন এবং জমাও দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থীত মোঃ মহিউদ্দিন নামের এক আইনজীবী ফরম কিনতে গেলে সাধারন আইনজীবীরা ক্ষুদ্ধ হন।

পরে জানা যায়, তিনি জামায়াতের সমর্থিত প্রার্থী। একজন আওয়ামীপন্থী আইনজীবী কিভাবে জামায়াতে গেলেন তা নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে। তবে হামলার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডভোকেট মোহসীন উদ্দিন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এবং বাকি দুজন নির্বাচন কমিশনারও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী।

আরবি/জেডআর

Link copied!