মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫

পিরোজপুরে দোকান ও মন্দিরে ভাঙচুরে আটক ৩

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম

পিরোজপুরে দোকান ও মন্দিরে ভাঙচুরে আটক ৩

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ও দোকানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার মাঠিভাংঙ্গা ইউনিয়নের সামন্তগাতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকা ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন জাহান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরূপ রতন সিংহ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান দুলাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মন্দির ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় নাজিরপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।

আটকরা- ছাব্বির সেখ (২৩), মুস্তাকিন সেখ (২০), নয়ন সেখ (২০)। তারা নাজিরপুর উপজেলার মাঠিভাংঙ্গা ইউনিয়নের সামন্তগাতী গ্রামের বাসিন্দা।

হামলায় আহত ব্যবসায়ী রেবতী গাইন বলেন, ‘দুই-তিন দিন আগে আমার চায়ের দোকানে বসে স্থানীয় কয়েকজন ছেলে চা খাচ্ছিল ও ফ্রি ওয়াইফাই (ইন্টারনেট) ব্যবহার করছিল অনেকক্ষণ ধরে। এ নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা ওই দিন আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে স্থানীয় পর্যায়ে সালিস- মীমাংসার কথা থাকলেও না বসে শুক্রবার রাতে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ এসে দোকানে হামলা করে আমাকে মারধর করে এবং দোকানের মালামাল লুটপাট করে ও তা ফেলে দেয়।’

এ বিষয়ে হামলায় আহত সামন্তগাতী পশ্চিম চরপাড়া শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির সভাপতি মিলন গাইন বলেন, ‘যখন রেবতী গাইনের ওপর হামলা করা হয় তখন তার চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। এরপর হামলাকারীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়ে হামলা করে। এতে ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়। হামলা শেষে যাওয়ার পর আমাদের মন্দিরের দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির ভাঙচুর করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছে হোগলাবুনিয়া গ্রামের মাটিভাঙ্গা গ্রামের কৃষক লীগের সভাপতি মামুন শেখ।

এ বিষয়ে মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিচার চাই এবং বিষয়টি অতীব নিন্দনীয়। ফাঁসানোর জন্য একটি মহল আমার নাম ব্যবহার করছে।’

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ আল-ফরিদ ভুঁইয়া জানান, ঘটনার খবর শুনতে পেয়েই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয় । পরে দোকান-মন্দিরে হামলা ও মারমারি ঘটনায় রেবতী গাইন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে । বাকিদেরও আটক করার চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন জাহান জানান, এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দোকান ভাঙচুরের সাথে যারা জড়িত তারা মন্দির ভাঙায় জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরবি/এসআর

Link copied!