বান্দরবানে লামার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অপহৃত ২৫ রাবার শ্রমিককে দশ লাখ টাকা মুক্তিপনের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী সীমান্তবর্তী মুরুং ঝিরি এলাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো. সিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আব্দুল মাজেদ, মনিরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, মো. মোবারক, মো. হারুন, সৈয়দ নুর, রমিজ উদ্দিন, মো. কায়ছার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান, মঞ্জুর, আফসার আলী, মো. খাইরুল আমিন, আবু বক্কর, আবদুর রাজ্জাক ও মো. মবিনের নাম জানা গেছে। তারা কক্সবাজার জেলার রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে মুরুং ঝিরি পাড়া থেকে ২৬ জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। যৌথ বাহিনীর অভিযান কারণে বারংবার স্থান পরিবর্তন করতে থাকলে ২৬ জনের মধ্যে একজন পালিয়ে আসে। অবশিষ্ট ২৫ জন শ্রমিককে ভোরে মুক্তিপণের মাধ্যমে রাবার শ্রমিকদের ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
রাবার কোম্পানি মালিক ফোরকান বলেন,১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৬ বাগানের ২৫ জন শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে। আগে এক শ্রমিক পালিয়ে এসেছে। ছেড়ে দেওয়ার আগে শ্রমিকদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আহত শ্রমিকদের ঈদগাহ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান।
সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সকালে অপহৃত ২৫ জন রাবার শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
এদিকে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পালিয়ে আসা শ্রমিক জিয়াউর রহমানের বক্তব্যের সূত্র ধরে ওসি বলেন, শ্রমিক জিয়াউরে তথ্যমতে সন্ত্রাসীরা সংখ্যায় ১২ থেকে ১৪ জন ছিল। তাদের সকলের হাতে অস্ত্র এবং গায়ে সবুজ রঙের ( সেনা সদস্যদের মত) পোশাক ছিল। অপহরণকারীরা কোন সংগঠনের জানা যায় নি।
বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার বলেন, অপহরণকারীরা শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পেয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্গম বমুখাল এলাকায় সশস্ত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা ৩টি খামার বাড়ি থেকে ৭ জন তামাক শ্রমিক ও ২ ফেব্রুয়ারী গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান এলাকা থেকে ৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :