বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

পদ্মায় ট্রলারে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

পদ্মায় ট্রলারে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত

ট্রলারে উঠে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় মামলার পর অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পদ্মা সেতু উত্তর থানা-পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জামাল মোল্লা (২৩), ইয়ামিন মুন্সী (১৯) ও জব্বার শেখ (১৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃতরা। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, রোববার ভুক্তভোগী গৃহবধূ পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে তার স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা ওই গৃহবধূকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রলারে তোলে।

পথে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন এবং জব্বার ট্রলারে ওঠে। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নদীপথে পদ্মা নদীতে ওই অভিযুক্ত চারজন ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্টগার্ড স্টেশনের পাশে ভুক্তভোগীকে রাত ৯টার দিকে ট্রলার থেকে নামিয়ে দেয় এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পর ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় চারজন যুবকের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে মামলা রুজু করে এবং আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে।

পরদিন সোমবার পদ্মা নদীর পাড় থেকে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারও ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, অভিযুক্ত তিনজনই আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবহৃত নৌকা এবং অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও পলাতক আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

আরবি/জেডআর

Link copied!