বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

ঋণের চাপে ও অভাবের কারণে সাদিয়ার আত্মহত্যা

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

ঋণের চাপে ও অভাবের কারণে সাদিয়ার আত্মহত্যা

ফাইল ছবি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় একদিনে দুইজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার জাটিয়া ও বড়হিত ইউনিয়নে এদুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের টংটংগিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনি খানের পুত্র সুজন খান (৪৮) ঋণের চাপে অভাবের তাড়নায় বিষপানে ও বড়হিত ইউনিয়নের ধৈরত ভোলসোমা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নয়ন মিয়া জানান, কিছুদিন পূর্বে সুজনের একটি অটো রিক্সা চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঋণ করে আরেকটি রিক্সা ক্রয় করে। সে রিক্সাটিও কয়েকদিন পূর্বে সোহাগী বাজার থেকে চুরি হয়ে যায়। এতে ঋণের চাপে এবং কর্মহীন হয়ে অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সাদিয়া আক্তারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৩/৪ মাস ধরে সাদিয়া মানসিক রোগে ভোগতেছিলো। ঘটনার দিন সকালে বাবা-মা খাওয়া দাওয়া করে কৃষি জমিতে লাউ এর বীজ রোপন করতে যায়। পরে সাদিয়ার মা বাড়ীতে এসে ঘরের দরজা জানালা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে দরজা জানালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে দেখতে পায় সাদিয়া তার পরনের ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। খবর পেয়ে উভয় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সুজন খান ঋণের চাপে এবং কর্মহীন হয়ে অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে।

আবু/এস

Link copied!