হাঁস পার্টিতে মুখরিত পূর্বাচল : কর্মসংস্থান কয়েক হাজার

রূপগঞ্জ (নারায়গঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

হাঁস পার্টিতে মুখরিত পূর্বাচল : কর্মসংস্থান কয়েক হাজার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ইটকাঠের গন্ডি পেড়িয়ে রাজধানী ঢাকার পাশে ঘুরে বেড়ানোর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ৩‍‍`শ ফিট সড়ক ও পূর্বাচল উপশহর। আর এখানকার ভোজন রসিকদের সেরা পছন্দ পূর্বাচলের চাপটি পিঠা ও  হাঁসের মাংস।

সুস্বাধু এ খাবার খেতে প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা ও তার আশপাশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান এখানে। হাঁসের মাংস আর চাপটি পিঠাকে কেন্দ্র করে এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। তবে, দিনের আলোতে যতোটা মনোরম রাতের আধারে ততোটাই ভয়ংকর পূর্বাচল উপশহর। পূর্বাচলকে স্বরূপে ফিরিয়ে আনতে আইনসংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান পর্যটক সহ স্থানীয়রা।

রাজধানীর কোল ঘেষে গড়ে উঠা পূর্বাচল উপশহর পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এক নাম। দৃষ্টিনন্দন ৩‍‍`শ ফিট সড়ক, এখানকার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর মুক্ত বাতাস মনকাড়ে যে কারোর-ই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকে সরগরম থাকে পূর্বাচল উপশহর। আর এসব পর্যটকদের কেন্দ্র করে ভোলানাথপুর, কেয়ারিয়া, বাঘবের, বাড়িয়াসনি, ইছাপুরা, রুগরামপুর, ডুমনী, পাতিরা সহ আশপাশের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষজনেরা পূর্বাচলের ১নং সেক্টর ও ১২নং সেক্টর সহ বিভিন্ন স্থানে সাঁড়ি সাঁড়ি শতো শতো অস্থায়ী দোকান বসিয়ে হাঁসের মাংস ও চাপটি পিঠা বিক্রি করছেন নিয়মিত।

তার সাথে রোমালী রুটি ও চিতই পিঠা সহ নানান উপাদানে বাহারি ভর্তার দেখা মেলে এখানে। এসব মুখরোচক খাবার খেতে প্রতিদিনই দুরদুরান্ত থেকে স্বপরিবারে এখানে ভির জমান হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এসব খাবার বিক্রির ধুম। আর নিজ হাতে খাবার গুলো তৈরি করেন এখানকার দোকানীরা। এখানে প্রতিটি দোকানে গড়ে ৪-৫জন কর্মচারীও রয়েছে। সে হিসেবে, পূর্বাচলের এসব খাবার দোকানের উপর নির্ভর করে এখানে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

বিশেষ করে পূর্বাচল উপ-শহরের আধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশই এ পেশার সাথে জড়িত বলছেন স্থানীয়রা। পূর্বাচলে ঘুরতে আসা ভ্রমণপ্রেমীরা এসব দোকানে হাঁসের মাংস ও চাপটি খেয়ে ভেজায় খুশি বলছেন পর্যটক সহ দোকান মালিক শ্রমীকরাও। সপ্তাহজুড়েই এসব দোকান বসলেও বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের সমাগম অনেকটাই বেশি থাকে এখানে। আর বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে এসব খাবরের চাহিদা বেশি থাকায় এবারের শীতে ব্যবসা আরো লাভজনক হবে বলে মনেকরেন দোকানীরা।


নারায়ণগঞ্জ পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, পূর্বাচলের খোলা মেলা পরিবেশ আর দৃষ্টিনন্দন সড়ক দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন। এসব পর্যটকদের কেন্দ্র করে আশপাশের দোকান গুলোতে অনেক বিভিন্ন খাবার বিক্রি হয়। এতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে। পর্যটক সহ স্থানীয়দের নিরাপত্তা জোরদার করতে কাজ করছে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে, গভীর রাতে পূর্বাচলের নির্জন এলাকায় যাতায়াত না করা সহ সবাইকে সচেতন থাকার কথা জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আবু/এস

Link copied!