বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মো. মামুন হোসেন, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

সাইক্লোন সেন্টার না করে টাকা নিয়ে ঠিকাদার উধাও

মো. মামুন হোসেন, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

সাইক্লোন সেন্টার না করে টাকা নিয়ে ঠিকাদার উধাও

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসা কাম সাইক্লো সেন্টারে নির্মাণের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানান গেছে, বাংলাদেশ জলবাযু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দে এলজিইডি বাস্তবায়নে জেলার কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসা কাম সাইক্লোন সেন্টারে নির্মাণের কাজ পান মেসাস রূপালী কনস্ট্রাকশন। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর কাজ শুরু করে ২০২৩ সালে ৩১ মার্চ সমাপ্তি হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজের অর্ধেক হয়নি। ফলে মাদ্রাসার পরিচালনা কাজে বিঘ্ন ঘটছে। অত্র মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভবনের অভাবে জরাজীর্ণভবনে ক্লাস করে।

স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন ঘূর্নিঝড় ও দুর্যোগের সময়ে এলাকাবাসী সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়ে জীবন রক্ষা করতে পারতো কিন্তু সাইক্লোন সেন্টারটি নির্মান না হওয়ায় এখানে আশ্রয় নেয়া সম্ভব নয়।

অত্র মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফেজ মোঃ সোলেমান জানান, সাইক্লোন সেন্টারের ভবনটি নির্মাণ করা হলে মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের কোন সমস্যা থাকতো না এবং এলাকাবাসী দুর্যোগ কালীন সময়ে সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিতে পারত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই প্রকল্পের বরাদ্দের অধিকাংশ টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তর থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঠিকাদার
প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করলে মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে। ফলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, সাইক্লোন সেন্টারটি জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ না করা হলে দুর্যোগ কালীন সময়ে এলাকাবাসীর আশ্রয় নিতে পারবে না।

ইউনিয়নের মাঝখানে এই সাইক্লোন সেন্টারটি অবিলম্বে নির্মাণ করা জরুরী। অন্যদিকে উক্ত মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভালো পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। 

কাউখালী উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসাইনরাসেল বলেন, ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। যদি ঠিকাদার কাজ না করে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!