ছিলেন স্বেচছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সফর সঙ্গী। সফরকালীন সময়ে নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় নেতাকে বাচাঁতে গিয়ে আহতও হয়েছিলেন। অথচ এবার সেই হামলায় নিহত স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় নেতা দিদার হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে কারাগারে গেলেন ওই হামলায় আহত কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সালমান শিকদার ও রমজান শিকদার।
গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর থানা পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি কোটালীপাড়া উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রাম থেকে থেকে ডিবি পুলিশ এই দুই নেতাকে আটক করে। সালমান শিকদার কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কাগডাঙ্গা গ্রামের জাবের শিকদারের ছেলে এবং রমজান শিকদার একই গ্রামের চান মিয়া শিকদারের ছেলে ও পিঞ্জুরী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সহদপ্তর সম্পাদক।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা দিদার হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের ২ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানোর ঘটনায় জেলা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কর্মীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী স্ত্রী, সন্তান ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই দিন বিকালে তাদের গাড়িবহরটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়িবহরে হামলা চালায়। এই হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি নাজমা আক্তারসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ ও দেড় হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক নূরুল ইসলাম সাক্ষরিত আদালতে দাখিলকৃত মামলার বিবরনে জানাগেছে, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শওকত আলী দিদার নিহত হওয়ার ঘটনার সাথে গ্রেপ্তারকৃত কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সালমান শিকদার ও রমজান শিকদারের যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মাসুদ তালুকদার বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা দিদার হত্যা মামলায় কোটালীপাড়ার দুইজন স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলীয় কর্মকান্ড সফল করতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি এসএম জিলানীর গাড়ী বহরে তারা ছিলো।এদের কেন গ্রেপ্তার করা হল সেটা আমাদের বোদগম্য হচ্ছেনা।আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (ওসি)মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, ডিবি পুলিশ সন্দেহাতিত ভাবে তাদের গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে সোপর্দ
করেছে। থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তাকৃতদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :