চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় ‘উচ্ছৃঙ্খল’ একদল লোক পরিকল্পিতভাবে মব তৈরির করে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) হেনস্থা করার ঘটনায় আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনসহ মোট ১২ জনই এই মবের সঙ্গে জড়িত ছিল।
রোববার (২ মার্চ) পতেঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শনিবার রাতভর নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত। তারা দলবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে মব তৈরির মাধ্যমে পতেঙ্গা থানার এসআই ইউসুফ আলীকে মারধর ও হেনস্তার ঘটনা ঘটিয়েছিল।
গ্রেপ্তারকৃত ১০ জন হলো- গনপতি (৫৭), হামিদুর রহমান (৩০), রোহান (২০), আরিফ প্রমাণিক (৩৫), রাব্বি (৩৫), শুভ (১৯), জীবন (২৬), রুমেল (৩০), রেজাউল করিম (৪৫) ও সিয়াম শেখ (১৮)।
এর আগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানার আউটার রিং রোডে সমুদ্র সৈকত এলাকায় মবের এই ঘটনাটি ঘটে। এ সময় স্থানীয় জনতা দুই জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তারা হলো- সাইমন (২৭) ও আলী ইমাদ (২২)।
ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসে কয়েকজন যুবক মাদক সেবন করছে বলে তথ্য পৌঁছে জরুরি সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে। তখন সেখানে আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে ডিউটি করছিলেন এসআই ইউসুফ। ট্রিপল নাইনের তথ্য পেয়ে তিনি সেখানে গেলে দুই যুবক প্রথমে তাকে ভুয়া পুলিশ বলে চেঁচামেচি শুরু করে। এরপর তারা নিজেদের আরও লোকজন নিয়ে সেখানে আসে।
তারা এসআই ইউসুফকে ঘিরে সাজানো একটি মবের ঘটনা ঘটায়। ওই এআইয়ের কাছ থেকে ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
ইউনিফর্ম পরা একজন পুলিশ সদস্য হেনস্তার শিকার হচ্ছেন দেখে সমুদ্র সৈকত এলাকার লোকজন সেখানে যান। তারা হেনস্তাকারীদের দুই জনকে ধরে পিটুনি দেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সর্বশেষ গ্রেপ্তার ১০ জনকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :