বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীর বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাসের চাপায় ইয়াসিন সিকদার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনায় শিশুটির নানা আব্দুল মজিদ সিকদার গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাসটি ভাঙচুর করে, একপর্যায়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহত ইয়াসিন সিকদার আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নাপুর ইউনিয়নের মিশ্রিপাড়া গ্রামের মো. সুমন সিকদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শিশু ইয়াসিন তার নানা আব্দুল মজিদ সিকদারের সঙ্গে রাতে হেঁটে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক পারাপার হচ্ছিল। এ সময় বেপরোয়া গতির লোকাল বাসটি ইয়াসিনকে চাপা দেয়, এতে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়। তার নানা আব্দুল মজিদ সিকদার এ সময় বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর পরই প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা বাসটি ধরে ভাঙচুর করেন, এক পর্যায়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান জানান, উপজেলার ভূরঘাটা থেকে বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালগামী হাওলাদার পরিবহন নামের লোকাল বাস বেপরোয়া গতিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিক্রমকালে পথচারী শিশু ইয়াসিন সিকদার ও তার নানা আব্দুল মজিদ সিকদারকে ধাক্কা দেয়।
গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত শিশুটির নানাকে প্রথমে গৌরনদী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এ দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :