সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা এই দুটি উপজেলার দুটি জলমহালে বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ মাছ লুটপাট করতে এসে না পারায় দুটি জলমহালের দুটি খলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার মাঝখানে অবস্থিত সতোয়া জলমহালে দ্বিতীয় দফায় মাছ লুটপাঠ করতে এসে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সামনেই মাছ লুট করতে না পারায় জলমহালের দুটি খলায় বিক্ষুদ্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে গত দুদিন পূর্বে এই সতোয়া জলমহালে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষজন সরকারের রাজস্ব ও খাজনা দিয়ে লীজ নেওয়া জলমহালে অবৈধভাবে লোকজন নেমে কোটি টাকার দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ লুটপাঠ করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে এই জলমহালে আবারো মাছ লুটপাট চালানোহবে এমন তথ্যর ভিত্তিতে এই সতোয়া জলমহালের আশপাশে
দিরাই ও শাল্লা থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা অবস্থান গ্রহন করেন।
সেখানে দুই উপজেলার শ্যামারচর, মাইতি, ললোয়ারচর, কার্তিকপুরসহ আশপাশের ১৫/২০টি গ্রামের হাজারো লোকজন মাছ ধরার সরজ্ঞাম বাঁশ, কোনাজাল ও পলো নিয়ে উপস্থিত জলমহালের পাড়ে। পরবর্তীতে প্রশাসনের তরফ থেকে জলমহালে নামতে নিষেধ প্রদান করেন। মাছ নিধন করতে আসা বিক্ষুদ্ধ হাজারো জনতা বিলে নামতে না পেরে জলমহালের দুটি পাহাড়াদার রাত্রিযাপন করা খলায় আগুন ধরিয়ে দেন।
এভাবে গত কয়েকদিনে সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ এই তিনটি উপজেলার মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রশাসন থেকে বৈধভাবে লাখ কোটি টাকা খাজনা পরিশোধ করে ইজারা নেন সমিতির সদস্যরা। কিন্তু গত কয়েকদিনে কয়েকটি জলমহালে জোরপূর্বক বেশ কয়েক কোটি টাকার মৎস্য লুটপাটের ঘটনায় উদ্বেগ জানান ইজারাদারগণ।
ইতিমধ্যে জলমহাল লুটপাটের ঘটনায় দিরাই থানায় লুটপাঠের মামলা দায়েরের পর পুলিশ ৮ জন মৎস্য লুন্টনকারীকে গ্রেপ্তার করলে ও প্রকৃত নেতৃত্বদানকারীরা এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শাল্লা ওসি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, সতোয়া বিলে অবৈধ পন্থায় জোরপূর্বক মাছ ধরতে কয়েক হাজার মানুষ এসেছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ও আমাদের পুলিশ বাহিনী সদস্যদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য থাকায় দ্বিতীয় দফায় এই জলমহালটি লুট করতে দেয়া হয়নি। তবে হাজারো জনতা পরবর্তীতে জলমহালের দুটি খলায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় কারা কারা নেতৃত্বে দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ও জানান তারা।
আপনার মতামত লিখুন :