শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম

আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করায় পালক পিতা গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম

আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করায় পালক পিতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার মো. শামীম

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে পালক পিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে অভিযুক্ত মো. শামীমকে (৪০) আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।

বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, রোববার রাত সোয়া ১২টার দিকে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি ধারায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পালক মা। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তদন্তের বরাতে ওসি বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মা সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের সাথে ভুক্তভোগীর কোনো যোগাযোগ নেই। এক বছর বয়স থেকে ওই কিশোরীকে লালন-পালন করেন মামলার বাদী। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়েন ওই কিশোরী।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঘুমন্ত কিশোরীর ‘আপত্তিকর ও অশ্লীল’ ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ওইদিন যৌন নিপীড়নেরও শিকার হন ভুক্তভোগী। গত ২ মার্চ সকালে ভুক্তভোগীকে ওই ভিডিও দেখায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। যদিও সন্ধ্যায় তার মা কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরলে তাকে সব জানায়।

“পালক মা বিষয়টি জানার পর স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে বিভিন্নভাবে অনুনয়-বিনয় করলে আইনি প্রক্রিয়ার দিকে আর যায়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি। কিন্তু ওই কিশোরী এ বিষয়টি প্রতিবেশী একজনকে জানালে তার মাধ্যমে আশোপাশের লোকজন জানতে পারেন। পরে গত শনিবার রাতে লোকজন জড়ো হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশে দেয়”, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা তরিকুল।

এদিকে, গতরাতে (শনিবার) স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক অবস্থায় এক ভিডিওতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি অন্যায় করছি। আমার উপর তখন শয়তান ভর করছিল।’

তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার পর রোববার দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এবং ভুক্তভোগী কিশোরীর ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরবি/এসএমএ

Link copied!