ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আশ্রাফুল হাসান জাবেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে তার বাড়ী থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।
শনিবার দুপুরে জাবেদের বসতঘর থেকে একটি হাতে তৈরি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড বুলেট, ককটেল তৈরির সরঞ্জাম ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের বিষয় টের পেয়ে জাবেদ ওইসময় সটকে গেলেও অভিযানের ২ ঘন্টা পর তার বাড়ীর পাশের মেইন সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে দাগনভূঞা থানা পুলিশ।
এর আগে তার বাড়ীতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর দাগনভূঞা অস্থায়ী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শাহরিয়ার রহমান জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শনিবার সকাল থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণে ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন মাদক স্পটে ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।
সে অভিযানের অংশ হিসেবে মাদক রয়েছে মর্মে দাগনভূঞা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের রেজাউল হকের ছেলে আশ্রাফুল হাসান জাবেদের ঘরে অভিযান পরিচালনা করি।
মাদক খুঁজতে গিয়ে তার থাকার ঘরে দুই রাউন্ড বুলেট পাই আমরা। বুলেট পাওয়ার পর অস্ত্র উদ্ধারে তাদের পুরো ঘর তল্লাশি করে তার বসত ঘরের ছাদ থেকে একটি দেশীয় হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। এবং দেশীয় ধারালো ছুরি ও ককটেল তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
এছাড়াও তার থাকার ঘর থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়।
অভিযান পরিচালনার পূর্বে সে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
২ ঘন্টা পর তাকে তার বাড়ীর সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অভিযানে সেনাবাহিনীর সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফেনী জোনের উপ-পরিচালক সোমেন মন্ডল, দাগনভূঞা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহিদুল ইসলাম ও দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জাবেদের মা জানান, আমাদের ঘরে কি পাইছে না পাইছে কিছুই জানিনা। আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য এগুলো করা হচ্ছে। আর যে ছুরিগুলো ওরা নিছে সেগুলো কুরবানির গরুর চামড়া উঠানোর ছুরি।
দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান বলেন, জাবেদের বাড়ী থেকে দেশীয় হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় জাবেদ পালিয়ে গেলে পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাবেদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র মামলা রুজু করা হবে। এবং তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এর আগে, দাগনভূঞা উপজেলার পাশ্ববর্তী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে আবুল খায়ের (৫৫) ও মাতুভূঞা ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে নুরুজ্জামান (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে।
নুরুজ্জামানকে ভ্রাম্যমান আদালত ২ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :