‘কর্মই ধর্ম, কর্মেই মুক্তি’- পেশাগত কারণে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারিনি। নাড়ির টানে বাড়িতে নিরাপদে পৌঁছে দিতে পেরেছি, অপরিহার্য মানসিক শান্তি পাচ্ছি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এভাবেই একটি পোস্টে লিখেছেন ট্রেন চালজ আব্দুল আউয়াল রানা।
সোমবার (৩০ মার্চ) রাতে তিনি বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে আখাউড়া থেকে চট্টগ্রাম যান। কিন্তু ট্রেনটি নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে চলায় চালক নামাজ আদায় করতে পারেননি।
আব্দুল আউয়াল বলেন, জামালপুর থেকে ট্রেনটি প্রায় দুই ঘন্টা বিলম্বে ছাড়া হয়। পরে আমি আখাউড়া থেকে উঠি সোয়া তিনটায়। সকাল আটটা ১০ মিনিটে ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌঁছায়। পথিমধ্যে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় যাত্রায় বিলম্ব হয়।
এদিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জের ঈদ স্পেশাল ট্রেনের চালক তৌহিদুল মোরসালিনও এবার ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি।
তবে যাত্রীদের নিরাপদে সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে পেরে তিনি সুখ খোঁজে পেয়েছেন বলে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ঈদ মানেই পরস্পরের আনন্দ কে ভাগাভাগি করে নেওয়া নিজের অবশিষ্টাংশটুকু দিয়ে হলেও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত পড়া যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রায় নিজের সন্তানকে বাসায় রেখে ডিউটিতে হাজারো প্রানের টানের মাঝে সুখ খোজে নেওয়ার শক্তি রাখি।’
আপনার মতামত লিখুন :