রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৫, ১১:৩২ এএম

সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্যে ফিরেছে প্রাণ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৫, ১১:৩২ এএম

সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্যে ফিরেছে প্রাণ

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে  ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকায় দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে এখন স্থানীয়রা ছাড়া পর্যটক নেই। ফলে তুলনামূলক নির্জনতা পেয়ে সেন্টমার্টিনের প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছে।

বছরের অন্যসময়ে সেন্টমার্টিন পর্যটকের জন্য ৪ মাস খোলা থাকতো।  কিন্তু এই মৌসুম থেকে মাত্র ২ মাসের জন্য খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়  সরকার। সে অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি থেকে দশ মাসের জন্য পর্যটক নিষিদ্ধ করা হয়। বন্ধের প্রায় ২মাস পর অনেকটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে দ্বীপটিতে। সৈকতে তেমন কোনো প্লাস্টিক নেই । সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন প্রবাল। আবার প্রবালে জন্ম নিচ্ছে সামুদ্রিক উদ্ভিদও। নতুন করে  প্রাণ ফিরে পেয়েছে জীববৈচিত্র।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, পর্যটক যাতায়াত বন্ধের সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছিলো পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। যার ফলশ্রুতিতে ৫ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছে একাধিক ড্রোনের মাধ্যমে বর্জ্য পড়ে থাকার স্থান শনাক্ত করে এবং ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৯৩০ কেজি বর্জ্য অপসারণ করা হয়। অপসারিত বর্জ্যের ৯০ শতাংশই ছিল চিপস, বিস্কুটের প্যাকেট ও পলিথিন। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে একাধিক সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। এর আগে, বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে সৈকতসহ দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) চেয়ারম্যান মুজিবুল হক জানান, দ্বীপের মধ্যভাগে যানবাহন চলাচলের কয়েক কিলোমিটার পাকা সড়ক থাকলেও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ এলাকা দিয়ারমাথা এবং ছেঁড়া দ্বীপ যেতে হলে সৈকতের বালুচর দিয়ে যেতে হয়। তাতে যানবাহনের চাকার তলে পড়ে শামুক-ঝিনুক, লাল কাঁকড়াসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হয়। ধ্বংস হয় প্রবাল-শৈবালসহ জীববৈচিত্র্য। পাশাপাশি এই এলাকায় হোটেল-রিসোর্ট-কটেজ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব হোটেলের অতিথিদের যাতায়াত করতে হয় সৈকত দিয়ে। এখন পর্যটক না থাকায় সামুদ্রিক প্রাণী-জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষা হচ্ছে। আয়-রোজগারের জন্য স্থানীয় লোকজন সাগরে মাছ ধরছেন, কেউ মাছ শুঁটকি করছেন। কেউ আবার সবজি-তরমুজ চাষে ব্যস্ত। আবার অনেকেই নারকেল ও ডাব টেকনাফে নিয়ে বিক্রি করছেন।

সেন্টমার্টিনে কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নেকমের সহকারী প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান বলেন, পর্যটক সীমিত করার উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশের উন্নতি ঘটেছে। ভ্রমণের সময়েও (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) কঠোর নজরদারির কারণে সমুদ্র থেকে প্রবাল আহরণ হয়নি। সৈকতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় না থাকায় মা কাছিমের ডিম পাড়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। লাল কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকেরও বংশবিস্তার ঘটেছে।

আরবি/এসবি

Link copied!