তিন পার্বত্য জেলায় বিজু সাংগ্রাইকে ঘিরে পাহাড়ে পাহাড়ে উৎসবের বন্যা বইছে। গত ৯ এপ্রিল থেকে তিন পার্বত্য জেলা উপজাতি সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব বিজু নানান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে।
চাকমাসহ পাহাড়ে বসবাসরত অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা,বড়–য়া ও মারমা সম্প্রদায়ের লোকেরা ১২ এপ্রিল শনিবার ফুল বিজুর মধ্য দিয়ে তাদের উৎসব শুরু করবেন।
বিজুকে ঘিরে উপজাতি কিশোর কিশোরীদের নাচ,গান,নিত্য ও র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।
বিজু উৎসবে চাকমাসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রধান আকর্ষণ হলো পাচন। পাচন তৈরি করা হয় ১৫-২০ ধরনের সবজি দিয়ে। উপজাতিদের এই পাচন খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও মজা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু,সাংগ্রাই,বৈসুক,বিষু ও বিহু উপলক্ষে রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও জেলা পরিষদের আয়োজনে ৩এপ্রির -৯এপ্রিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজু ঘিরে জনসংহতি সমিতি,বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ সামাজিকভাবে মেলা,ব্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এবং বিজু,সাংগ্রাই,বৈসুক,বিষু ও বিহু উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন রাঙামাটি কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছেন।
অপরদিকে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন গর্জনতলীর আয়োজনে বৈসুক ও বাংলা নববর্ষর উদযাপন উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী ফুল বিজুর মধ্য দিয়ে ১২এপ্রিল অনুষ্ঠান কর্মসূচি পালিত হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাচাং বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরা বলেন,শহরের মধ্য দ্বীপ গর্জনতলী ঘাট হতে অনুষ্ঠানিক ভাবে ফুল বিজুর উদ্বোধন করা হবে।
সাংগ্রাই জল উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন,মারমা সংস্কৃতি সংস্থা(মাসস) এর সভাপতি মংসুইপ্রæ মারমা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবনে ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক।
এছাড়া সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। জল উৎসব উদযাপন বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন,সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির আহবায়ক আদোমং মারমা ও সদস্য সচিব উবাসং মারমা। জল উৎসবে থাকবে মারমা কিশোর-কিশোরীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জলকেরি ও মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আপনার মতামত লিখুন :