বজ্রপাতে দেশের ৪ জেলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর, হবিগঞ্জ, নরসিংদী ও কুমিল্লা জেলায় এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন আরও দু’জন। এ ছাড়া জেলার নবীগঞ্জে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনিরুল ইসলাম (৪২), কাফিল উদ্দিন (২২) এবং নবীগঞ্জ উপজেলার দিগলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে শাহ আলম।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাইদুল হাসান জানান, বুধবার দুপুরে একদল শ্রমিক আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই ২ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন।
নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বনকাদিপুর গ্রামের পাশ্ববর্তী হাওর থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শাহ আলম ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, গাজীপুরের কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, কাপাসিয়া উপজেলার ভূলেশ্বর এলাকার মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে ইফাজ উদ্দিন (৬৫) ও কালীগঞ্জ উপজেলার টেক মানিকপুর এলাকার রজব আলীর ছেলে শুকুর আলী।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, দুপুরে ইফাজ উদ্দীন গরু আনতে মাঠে গিয়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন আলী বলেন, কৃষক শুকুর আলী দুপুর মাঠে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
অপরদিকে, নরসিংদীর রায়পুরায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ইব্রাহিম হোসেন (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হন। নিহত ইব্রাহিম হোসেন নূরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে।
রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ জানান, দুপুরে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে মাঠে ধান কাটতে যান ইব্রাহিম। ধান কাটার সময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ইব্রাহিম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, কুমিল্লার দেবিদ্বারে ধান মাড়াইয়ের কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়। নিহত ওই নারীর নাম আলেয়া বেগম (৪০)। তিনি ওই গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
দেবিদ্বার থানার ওসি সামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বিকেলে আলেয়া বেগম নিজের জমি থেকে ধান কেটে খেতেই মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে পরিবারের অন্যরাও ছিলেন। এরপর হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় আর কেউ আহত হননি।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাড়ির উঠানে ধান শুকানোর সময় বজ্রাপাতে তিন কিষানি আহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :