মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনশনে হালিমা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনশনে হালিমা

হালিমা আক্তার। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর বিয়ে করেন তারা। এরপরও স্ত্রীর মর্যাদা পাচ্ছেন না কিশোরী।

স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মৌলভীবাজারে ওই ছেলের বাড়িতে অনশনে বসেছেন তিনি।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে ওই কিশোরী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আফতাব আলীর বাড়িতে অনশনে বসেন।

নিজেকে আফতাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২২) স্ত্রী বলে দাবি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার কান্দিপাড়া ভলাকুট এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে হালিমা আক্তার (১৯)।

হালিমা জানান, তার সঙ্গে টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওয়াকিব আলী। এরই ধারাবাহিকতায় তার সঙ্গে ছেলের প্রেমের কথাবার্তা চলমান থাকাবস্থায় তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং বিয়ের জন্য পালিয়ে চট্টগ্রাম চলে যান। 

গত ৬ এপ্রিল সেখানে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে বিয়ের যৌথ হলফনামামূলে ও কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কয়েক দিন পর নামাজে যাওয়ার কথা বলে ওয়াকিব আলী ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যান।

বর্তমানে তার পরিবারও তাকে মেনে নিচ্ছে না। কোনো সুরাহা না পেয়ে তিনি ছেলের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে এসেছেন। এখানে ছেলের পরিবারও তাকে মেনে নিচ্ছে না, তাই কোনো পথ না পেয়ে তিনি অনশনে বসেছেন।

এদিকে, ছেলের বাবা আপ্তাব আলী বলেন, ‘গত মাসে ঈদের চারদিন পরে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছে। ছেলের একটা ব্যবসা ছিল, সেখান থেকে আড়াই-তিন লাখ টাকা নিয়ে সেদিন মাগরিবের পরে দোকান থেকে চলে গিয়েছে। এরপর আর আসেনি, আমরাও জানি না কোথায় আছে।’

‘তবে, ৫-৬ দিন আগে শুনছি এলাকায় আসছিল, কিছু মানুষ আমাকে বলেছিল বাড়িতে তুলতে। কিন্তু তখন সে একা আসছিল, মানুষ আমাকে বলেছিল তাকে বাড়িতে তুলতে। এ সময় আমি বলেছি যে, ছেলে আমার আড়াই-তিন লাখ টাকা খুইয়ে দিয়েছে, তাকে আমার দরকার নেই। এরকম ছেলে আমি ত্যাজ্যপুত্র করে ফেলছি। বর্তমানে ছেলের খোঁজখবর আমি জানি না।’

এ ব্যাপারে খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী বলেন, ‘পথিমধ্যে একটি মেয়ে এসে কান্নাকাটি করে বলেছে বিষয়টি। সময় না থাকায় মেয়েটিকে বলেছি, আমি একটা বিচারে যাব এবং এসে পরবর্তীকালে বিষয়টি বিস্তারিত শুনব।’

Link copied!