ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএস ইসলামিক রিলিফের অর্থায়নে পরিচালিত সুপ্রিম এশিয়া প্রকল্পের আওতায় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় তিন দিনব্যাপী অর্থ সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কার্যক্রমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৬৮৬টি দরিদ্র পরিবারকে আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য মোট ১ কোটি ৭১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলো হলো ১নং পশ্চিম ইসলামপুর, ২নং পূর্ব ইসলামপুর, ৪নং ইছাকলস, ৫নং উত্তর রনিখাই, এবং ৬নং দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়ন। প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এই অর্থ তাদের আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে এবং তাদের আর্থিক স্বাবলম্বিতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম, উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান, ইছাকলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজু, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জিয়াদ আলী এবং দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দীন।
পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম বলেন, "ইসলামিক রিলিফের এই সহায়তা আমাদের অঞ্চলে দারিদ্র্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, উপকারভোগীরা এই অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আগামী তিন বছরের মধ্যে তাদের আয় বহুগুণে বাড়াতে পারবেন।"
ইছাকলস এবং উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ জানান, "আমাদের ইউনিয়নগুলো বন্যাকবলিত এবং দরিদ্রতায় জর্জরিত। এই সহায়তা এই পরিবারের জন্য একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।"
উপকারভোগীদের মধ্যে সুনেরা বেগম জানান, "এই অর্থ আমাদের জীবনে বড় সহায়ক হবে। আমি এটি দিয়ে একটি গরু কিনবো এবং আয় বাড়াবো।"
কুলসুমা বেগম বলেন, "আমি এই টাকা দিয়ে ছোট ব্যবসা শুরু করবো এবং আমার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবো। আমরা ইসলামিক রিলিফের প্রতি কৃতজ্ঞ।"
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ওহিদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, "এই অর্থ সহায়তা দরিদ্র পরিবারের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের পথ সুগম করবে।" অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল হাই আরিফ।
এই নগদ অর্থ সহায়তা কোম্পানীগঞ্জের দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডে এই অর্থের সঠিক ব্যবহার দারিদ্র্য নিরসন এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
আপনার মতামত লিখুন :