ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

স্ত্রীকে লোভী বললেন স্বামী‍‍`

বগুড়ায় শিশু হত্যা মামলা, লাশ তুলল পিবিআই

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৪ মাস বয়সী শিশু নূর সাফায়েত মিজানের লাশ করব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে লাশ তুলে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে বগুড়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদমান আকিফ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এসআই নাজমুল হকের উপস্থিতিতে নন্দীগ্রাম পৌর সদরের কচুগাড়ি এলাকার কবরস্থান থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়। শিশু নূর সাফায়েত মিজান নন্দীগ্রামের শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি ফজলুল হক কাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমের সন্তান। তবে স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। 

জানা গেছে, শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে গত ১৩ মে বগুড়ার আদালতে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী কাশেমের সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগম। ওই মামলায় কাশেমের (মৃত প্রথম স্ত্রীর পক্ষ) ছেলে জোবায়ের হোসেন সেতু, মেয়ে নূর আফরোজ জ্যোতি ও পুত্রবধূ সাথী আকতারকে আসামী করা হয়েছে। 

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামীরা চার মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজানকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ অভিযোগ আদালত আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। মামলার তদন্তভার পেয়েছেন পিবিআই বগুড়ার এসআই নাজমুল হক। তিনি ময়না তদন্তের জন্য শিশুর লাশ লাশ করব থেকে উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এসআই নাজমুল হক জানান, আদালতের আদেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে করব থেকে শিশু নূর সাফায়েত মিজানের লাশ উত্তোলন করা হয়। মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

শিশু সন্তানের লাশ উত্তোলন ও মামলার বিষয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ফজলুল হক কাশেম। তিনি বলেন, হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়। আমার সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা খাতুন খুব লোভী মহিলা। নিজের স্বার্থের জন্য হত্যা মামলা করেছে। তার আচরণ একেবারেই ভালো নয়। যে কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। 

মামলার বাদী (কাশেমের সাবেক স্ত্রী) সালমা খাতুন বলেন, আমার চার মাস বয়সী সুস্থ শিশু সন্তানকে সৎ ছেলে-মেয়েসহ আসামীরা পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদমান আকিফ জানান, সকলের উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ উত্তোলন করে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।