ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ (৭৫) পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে তার গাড়িচালক আক্তার মিয়া (৪০) তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে। আক্তার মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার ভুপতিপুর গ্রামে।
সোমবার বিকেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঝিনাইদহ শহরের স্টেডিয়ামপাড়া হিরনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে শহিদুল ইসলাম হিরণ তার লাইসেন্স করা বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। এতে প্রায় ২৫ জন আহত হন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় জনতার গনপিটুনিতে হিরণের গাড়ি চালক আক্তার হোসেন নিহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা তার বাড়িতে প্রবেশ করে হিরনের লাশ নিয়ে যায় পায়রা চত্বরে। সেখানে তার পোড়া ও উলঙ্গ লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এদিকে বহু আলোচিত সমালোচিত শহিদুল ইসলাম হিরণ নিহত হওয়ার খবরে হাজার হাজার জনতা তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়রা চত্বরে এসে জমা হয়। শহিদুল ইসলাম হিরণ জাসদ গনবাহিনী দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপর সর্বহারা, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও সর্বশেষ আ’লীগে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বহু হত্যা, নির্যাতন ও অপকর্মের অভিযোগ ছিল।