মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে বিএনপির দু-পক্ষের সংঘর্ষে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাহারুল ইসলাম বাওট গ্রামের গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের হামিদুল হক কালু এবং নাহারুল ইসলামের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মঙ্গলবার সকালে গাংনীত্যে বিএনপির বিজয় মিছিলে বের করেন বাওট গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনতা। ওই মিছিলের ভেতরে উপস্থিত হন নাহারুল ইসলামের পরিবারের লোকজন। নাহারুল ইসলামের ভাই বাওট বাধাগ্রস্ত বিদ্যালয়ের পরিচালক ইনামুল হক। এনামুলকে দেখে উত্তেজিত হন বাওট গ্রামের বিএনপি কর্মী উজ্জ্বল হোসেন। গত ১০ বছর এনামুল হক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। এই নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন রক্তাক্ত হয়। পরে স্থানীয়রা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাহারুলের মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষে নিহতের খবর দিলেও ঘটনা স্থলে কোনো পুলিশ আসেনি। রাত দেড়টার দিকে নিহত নাহারুলের মরদেহ বাধ্য হয়ে গাংনী থানায় রেখে এসেছে তাঁর স্বজনেরা। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কর্মকর্তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।