শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ফারুক মোল্লা (৪৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় কুপিয়ে জখম করা হয় তার ছোট ভাই ফরহাদ মোল্লাকে (৩৫)। নিহত ফারুক চরকুমারিয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরকুমারীয়া ইউনিয়নের বাহেরচর গনি মোল্লার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক মোল্লার বসতবাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা বাড়িতে ঢুকে ফারুক মোল্লা ও তার ছোট ভাই ফরহাদ মোল্লাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এরপর দুর্বৃত্তরা তাদের ১২টি বসতঘরে আগুন দিয়ে চলে যায়। পরে স্বজনরা ফারুক মোল্লা ও ফরহাদ মোল্লাকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুক মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ফরহাদ মোল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ মোল্লা বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, ‘আমরা রাজনীতি করার সময় কারো কোনো ক্ষতি করিনি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের লোক আমার ভাইকে মেরে ফেললো। সম্রাট মোল্লা , অশ্রু মোল্লা , অনিক মোল্লা ওরা আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়া কোপাইছে। আমার আরেক ভাইয়ের অবস্থাও খুব খারাপ, মনে হয় সেও বাঁচবে না। ওরা আমাগো বাড়িঘর সব জ্বালাই দিছে। আমরা ওগো বিচার চাই।’
ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনিকা বলেন, স্বজনরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে এসেছিল। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।