ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সেই ইমনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সেই ইমনের মৃত্যু

ফাইল ছবি

ঢাকা:  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পেটে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র মো. ইমন (১৮)। আহত কলেজছাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ইমন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান সকাল ৮টার দিকে মারা যান তিনি। ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ৪ আগস্ট বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোরাইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ইমন। ইমনের বাবা নেই। টিউশনি করে পরিবার চালাতেন তিনি। চার ভাই-বোনের মধ্যে ইমন বড়।ইমনের সহপাঠী সাইফুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলের হেমনগর ইউনিয়নের ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন ইমন। মেধাবী কলেজছাত্র ইমন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামনের সারিতে ছিলেন।

গত ৪ আগস্ট বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোরাইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় পুলিশের একটি গুলি ইমনের বুকে আঘাত করে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকালের দিকে আইসিইউতে মারা যান তিনি।

সাইফুল আরও জানান, ১০ বছর বয়সে বাবা হারানো ৪ জনের পরিবারে ইমনই ছিলেন একমাত্র কর্মক্ষম। ফলে ছেলের চিকিৎসার ব্যয় বহনে এরইমধ্যে সহায় সম্বল বিক্রি করেছেন মা রিনা বেগম। বাবার মৃত্যুর পর পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পরিবারের হাল ধরেন ইমন। তার ছোট আরও দুই ভাই ও এক বোন রয়েছে। সংসারে হাল ধরতে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন মা রিনা বেগম। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

আরবি/এস

Link copied!