শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ শহীদ সুজনের পরিবার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ শহীদ সুজনের পরিবার

নিহত সুজন হোসেন। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঘরে শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে বাড়ি ছেড়ে ঢাকা আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরি নেয় সুজন হোসেন। তিন বোন, বাবা ও মা নিয়ে সুজনের সংসার। পরিবারের ৬ সদস্যের অভাবী সংসারের হাল ধরেছিল বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে সুজন। তাদের ভরনপোষণ চলতো সুজনের উপার্জনের টাকায়। বিয়েও দিয়েছেন দুই বোনের। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিলে যোগ দিয়ে গিয়ে গত ৫ই আগস্ট ঢাকা আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে আহত হলে সহযোদ্ধারা তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন গত ৬ আগস্ট শহীদ সুজন হোসেনের মরদেহ তার নিজ গ্রাামে নেওয়া হলে পুরো এলাকা জুুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। ওইদিন বাদ আসর তার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়। সুজনের মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে এলাকার মানুষের।

নিহত সুজন হোসেনের কবর। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শহীদ সুজন হোসেনের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে। সহিদুল ইসলাম ও রিজিয়া বেগম দম্পত্তির একমাত্র পুত্র সন্তান সুজন । একমাত্র উপার্জনক্ষম সুজন হোসেনের এমন মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি।

সুজনের বাবা সহিদুল ইসলাম বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা শহিদুল ইসলাম বর্তমানে উপার্জনে অক্ষম হয়ে ঘরে পড়ে আছেন। পাঁচজনের অভাবী সংসারের হাল ধরা একমাত্র ছেলে কলিজা ছেড়া ধন প্রাণ নির্মমভাবে গুলিতে নিহত হলো। এখন সংসার চলবে কিভাবে।

স্থানীয়রা জানান, ছয় আগস্ট সুজনের মরদেহ বাড়িতে আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত  খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে তার পরিবারের বাকি সদস্যরা। কম বয়সে সংসারের হাল ধরে দুই বোনের বিয়েও দিয়েছে সুজন। বাড়িতে রয়েছে তার আরও একটি ছোট বোন। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় এক বোন তার সন্তানসহ ফিরে এসেছেন বাবার বাড়িতে। হতবিহ্বল মা-বাবা ও বোনদের পাশে স্থানীয় বিত্তশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। দেশের দায়িত্ব দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্থানীয় বিত্তশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতা পেলে কিছুটা হলেও কষ্ট কমবে পরিবারটির। এমতাবস্থায় পরিবারটির জন্য সমাজের বিত্তবান  ব্যক্তি ও সরকারি সহায়তার বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু অসচ্ছল পরিবারটির পাশে এখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তি বা দল পাশে দাঁড়ায়নি বলে জানান প্রতিবেশিরা। 

আরবি/জেডআর

Link copied!