শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

শেরপুরে কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখলের চেষ্টায় মরিয়া ভূমিদস্যুরা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

শেরপুরে কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখলের চেষ্টায় মরিয়া ভূমিদস্যুরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে পৌর শহরে স্যানালপাড়ায় প্রায় কয়েক কোটি সম্পত্তি বেদখলের চেষ্টায় মরিয়া ভূমিদস্যুরা। প্রতিপক্ষের দফায় দফায়  মারপিট, লুটপাট ও ভাংচুরসহ পৈত্বিক বসতবাড়ি রক্ষাসহ পরিবারের সদস্য জীবনের নিরাপত্তা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাইদুজ্জামান সরকার জিকু নামের এক ভুক্তভোগী। 

এছাড়াও ২৪ আগস্ট রাতে ভূমিদস্যুদের পুনরায় তিনি শহরের স্যানাল পাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর সরকারের ছেলে। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে সাইদুজ্জামান সরকার বলেন, পৈত্বিকসূত্রে শেরপুর মৌজায় ৫৩২ নম্বর সিএস, ৫৭০ এমআরআর খতিয়ানভুক্ত সাবেক ৭৭৫ দাগে ৪৪ শতক জমি প্রাপ্ত হয়ে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছি। নামজারির পর বর্তমান সাল পর্যন্ত খাজনাও পরিশোধ করেছি। অথচ একই মহল্লার আব্দুল বাছেদের ছেলে আতাউর রহমান রহমান নামের এক ব্যক্তি জাল দলিল সৃষ্টি করে উক্ত জমিটির মালিনাকা দাবি করে বসেন। মোমেনা বেগমের নিকট থেকে উক্ত জমিটি কেনেছেন বলে জানিয়েছে। কিন্তু মোমেনা বেগমের এই জমিতে কোনো মালিকানা নেই। এরপরও বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বাড়স্থ হন ভূমিদস্যুখ্যাত আতাউর রহমান। অন্তত এক ডজন মামলা দায়ের করলেও ওইসব মামলায় হেরে যান তিনি।

সাইদুজ্জামান সরকার অভিযোগ করে বলেন, বিগত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে অস্থিরতা তৈরী হয়। এই সুযোগে ৬ আগস্ট মধ্যরাতে আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাড়িটির দখলে নিতে হামলা চালায়। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হয়। পরে তিনি উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর নিকট সাহায্য চান। এরপর তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এলে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায়। কিন্তু পিছু হটেনি। এমনকি বসতবাড়িটি দখলে নিতে নানামুখি পাঁয়তারা চালাচ্ছে ওই চক্রটি। এরই ধারাবাহিকতায় ভূমিদস্যু আতাউর রহমানের নেতৃত্বে শতাধিক দুস্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ২৪ আগস্ট রাত অনুমান ৮টার দিকে আবারও বাড়ী দখলের জন্য হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা পরিবারের সদস্যদের মারপিট, ভাংচুর লুটপাট করে। এতে অন্তত মহিলাসহ ৪জন আহত হয়। তবে এ হামলার সময় শেরপুর থানার পুলিশের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন এবং তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি এমন অভিযোগও করেন ভূক্তভোগী।  এছাড়াও বসতবাড়ি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করতে স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে বসতবাড়ি রক্ষাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান তিনি। এসময় পরিবারের মহিলা সদস্যরা সহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ঘটনার সময় থানা পুলিশের উপস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ওইদিন রাতে উভয়পক্ষের মাঝে মারামারি চলাকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরবর্তীতে তাদেরকে স্ব-স্ব কাগজপত্র নিয়ে থানা আসতে বলা হয়। তবে ওইদিন আলাদা করে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি বলে দাবী করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

আরবি/জেডআর

Link copied!