শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম

হবিগঞ্জে বন্যায় রোপা ও বোনা আমনের ব্যাপক ক্ষতি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম

হবিগঞ্জে বন্যায় রোপা ও বোনা আমনের ব্যাপক ক্ষতি

বীজতলায় পানি উঠে চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন বিপর্যয়ের হতে পারে।

হবিগঞ্জ: টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে আকস্মিক বন্যায় হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বীজতলা পানিতে তলিয়ে চারা বিনষ্ট হওয়ায় উৎপাদন বিপর্যয়ের হতে পারে আশংকা করা হচ্ছে। বন্যায় জেলার ৪ হাজার ১৫২ হেক্টর বোনা আমন ও আউশ ধানের জমি তলিয়ে গেছে। ৩৭৩ হেক্টর বীজ তলা নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানি নামতে বেশি বিলম্ব হলে এসব জমির ধানগাছ পুরোপুরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

আকস্মিক বন্যায় বড় ধাক্কা লেগেছে হবিগঞ্জের রোপা আমনেও উপর। বীজতলায় পানি উঠে চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন বিপর্যয়ের হতে পারে।

জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় চলতি আউশ মৌসুমে ১৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি বোনা হয়। এখন ধানগাছগুলোতে চাল হওয়ার সময় চলছে। এরই মধ্যে কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে উপজেলায় ১ হাজার ৮৮০ হেক্টর আউশ তলিয়ে গেছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫২ হেক্টর এবং বাহুবল উপজেলার ৭৫ হেক্টর আউশ ধানের জমি পানির নিচে। আউশ মৌসুমে জেলার ৯ উপজেলায় চাষ হওয়া ৫২ হাজার হেক্টর বোনা আমন থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৮০ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি কমলেও জমির ধানের গাছ এখনো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে, জেলায় এবার রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮৮ হাজার ৩১০ হেক্টর।

এর মধ্যে ২৬ হাজার ২৬২ হেক্টর চাষ হয়েছে । তার মধ্যে ৩ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চুনারুঘাট উপজেলায়। সেখানে তলিয়ে যাওয়ার পরিমাণ বেশী।

বন্যার বড় প্রভাব পড়েছে রোপা আমনের বীজতলায়। লক্ষ্যমাত্রার চার তৃতীয়াংশ জমি এখনো আবাদের বাকি। প্রস্তুত করা বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।

জেলার ৯ উপজেলায় ৪ হাজার ৪২৬ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৩ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় এখন পর্যন্ত এক হেক্টর জমিতেও চারা রোপণ করা হয়নি। এর আগেই ৩৮৮ হেক্টর বীজতলা থেকে ৫৭ হেক্টর তলিয়ে গেছে। জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ বনি আমিন খান বলেন, ‘আউশের ধানগাছে এখন চাল তৈরি হচ্ছে। জমি থেকে পানি নামতে বিলম্ব হলে বড়রকম ক্ষতি হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!