ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

কালীগঞ্জে জোরপূর্বক অধ্যক্ষকে অব্যাহতির ঘটনায় থানায় অভিযোগ

জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুর: কালীগঞ্জে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানামাত্রিক দূর্নীতি, সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জোর পূর্বক অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় অধ্যক্ষের স্ত্রী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত আজমতপুর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্কুল এ্যান্ড কলেজ) এর অধ্যক্ষ ড. মো. এনায়েত হোসেনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গত (২৯ আগস্ট) বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত একটি অব্যাহতি পত্র উপজেলা নির্বাহী
অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলেজের অধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন পদত্যাগ করতে না চাইলে সিফাত খান, মুহিদ, প্রভাষক জহিরুল ইসলামসহ ১০/১৫ জন হামলাকারী তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে। মারধরের কারনে তিনি আহত হয় এবং পায়ের হাড় ফেটে যায়। এসময় হামলাকারীরা তার দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। হামলার ঘটনায় অধ্যক্ষের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া বাদী হয়ে আজমতপুরের বিল্লালের পূত্র সিফাত খান (২২), বেলায়েত খানের পূত্র মুয়িদ ওরফে মুহিদ (২৭), অত্র কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক জহিরুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরোও ১০/১৫ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. এনায়েত হোসেন স্থানীয় গণমাধ্যদের এক সাক্ষাতকারে জানান, কলেজের শিক্ষকরা তাদের ইচ্ছেমত চলে, রোটিন অনুযায়ী ক্লাসে যায় না, সময়ের ব্যাপারে উদাসীন, কোন জবাবদিহি করতে চায়না, স্থানীয় নেতাদের দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে নিজের ইচ্ছে মত চলতে চায়। আমি এসবের ব্যাপারে কড়াকড়ি থাকায় শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়দের ব্যবহার করে জোর পূর্বক মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে অব্যাহতি পত্রে সাক্ষর করিয়ে নেয়। কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক জহিরুল ইসলামের বলেন, অধ্যক্ষের অব্যহতির বিষয়ে আমিসহ কলেজের অন্য কোন শিক্ষকদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার সময় আমরা সবাই ক্লাসে ছিলাম।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু প্রতিবেদককে জানান, এ ঘটনায় অধ্যক্ষের সাক্ষরিত একটি অব্যাহতি পত্র পেয়েছি। ইহা একটি জটিল বিষয়। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।