ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ফুলবাড়ীতে অনাবৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৩:২২ পিএম

ফুলবাড়ীতে অনাবৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চলতি মৌসুমে জমিতে রোপা আমনের চারা রোপনের পর অনাবৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন আমন চাষিরা। কৃষকরা বলছেন অনাবৃষ্টির কারণে টানা সেচ দিতে চাষাবাদে ব্যয় যেমন বাড়ছে পাশাপাশি ধানখেতে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। ফলে আমনের আবাদ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ কৃষক শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে জমিতে রোপা আমন ধানের চারারোপণ করেছেন। 

কৃষকরা জানান, জমিতে চারারোপনের সময়ই দেখা দিয়েছিল খরা। খরায় খরায় কেটে গেছে শ্রাবণ। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়েও বৃষ্টি নেই। এদিকে জমিতে সার ও নিড়ানি দেওয়ার সময় হয়েছে। বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিয়ে সার ছিটিয়ে নিড়ানি দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার ধানক্ষেতে দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই। কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।

উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী জানান, তিনি জমিতে চারা রোপন করছেন এক মাস হয়েছে। চারা রোপনের পর খেতের পানি শুকিয়ে যায়। ফসল বাঁচাতে জমিতে টানা সেচ দিয়ে আসছেন। অন্যান্য বছর বৃষ্টির পানিতে রোপা আমনের আবাদ করতে পারলেও এবারে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের পানিতে আবাদ করতে হচ্ছে তাকে। ফলে আবাদে ব্যয় বেড়েছে তার। ঘোগারকুটি গ্রামের  রুস্তম আলী জানান, তার জমিতে সার প্রয়োগের সময় হয়েছে। এদিকে অনাবৃষ্টিতে জমিতে একফোঁটা পানি নেই। জমিতে সেচ দিবেন সে ব্যবস্থাও নাই তার। অগত্যা শুকনো জমিতেই সার ছিটিয়ে দিয়েছেন। পরিস্থিতি এমন থাকলে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাবেন না বলে জানান তিনি। একই এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। খরার কারণে তার ধানক্ষেতে খোল পঁচা রোগ দেখা দিয়েছে। ধানক্ষেতে স্প্রে করার জন্য ১ হাজার টাকার ঔষধ কিনেছেন। 

ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদহ গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক ও মমিনুল ইসলাম সহ আরও কয়েকজন কৃষক জানান, খরার কারণে ধানখেতে মাজরা পোকা, খোল পঁচা ও পাতা মোড়ানো রোগের পাশাপাশি ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ধানখেত রোগবালাই মুক্ত করতে জমিতে বালাইনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলে ধানখেতে এতো রোগবালাই হতো না, জানান তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১১হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চাষের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে ক্ষেতে সেচ দিয়ে পরিচর্যা করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ধানক্ষেতের রোগবালাই দমনে কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। 

আরবি/জেডআর

Link copied!