রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে আবু সাঈদকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে দর্শকদের উপচে পরা ভিড়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নানা বয়সী লোকেরা ভিড় জমাচ্ছেন আবু সাঈদ চত্বর সংলগ্ন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটায় আবু সাঈদ চত্বর সংলগ্ন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-রংপুরের জজকোর্টের অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ, ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরী প্রমুখ।
আলোকচিত্রে গত ১৬ জুলাইয়ের আন্দোলনে বিভিন্ন ঘটনা সমূহ দেখানো হয়েছে৷ আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে আন্দোলনের দিন পুলিশ ও ছাত্রলীগ দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম হামলার চিত্র ৷
আলোকচিত্রের বিষয়ে ফটো সাংবাদিক আদর রহমান বলেন, আমি প্রথমে শহীদ আবু সাইদের পরিবারের জন্য গভীরভাবে সমবেদনা প্রকাশ করতেছি। আমি ১৬ জুলাইয়ে সাড়ে ৩০০ ছবি তুলেছি। এর মধ্যে ৫০টি ছবি এখানে প্রদর্শন করা হয়েছে। আমি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১৬ জুলাইয়ের অপ্রকাশিত ছবিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনও যদি আবু সাইদকে নিয়ে গবেষণা করা হয় তাহলে হয়তো এই ছবিগুলো অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, আমাদের পরিবারে আমরা ৯ ভাই বোন। ভাইদের মধ্যে আবু সাঈদ ছিল সবার ছোট। আমাদের পরিবারে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়তে পেরেছে আবু সাঈদ। আশা ছিল সে বড় হয়ে ভালো কিছু করে আমাদের পরিবারের হাল ধরবে। কিন্ত তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। যারা আমার ভাইকে আঘাত করেছে ও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল সবার কঠোর শাস্তি চাই।
দেখতে আসা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী হুজাইফা সামিয়া বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ ভালোই ছিল যেটুকু সময় এখানে অতিবাহিত করেছি। এখানে না আসলে জানতেই পারতাম না বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদ ভাই কতটা সাহসিকতার সঙ্গে আমাদের আজকে এই বিজয়ঘন মুহূর্তকে আমাদের উপহার দিয়েছেন। বেঁচে থাকুক বেরোবি শিক্ষার্থীদের এই সাহসিকতা আর একজন আবু সাইদ ফিরে আসুক বাংলার মাটিতে।
আপনার মতামত লিখুন :