ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

তালতলীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে  দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের কতিপয় নেতার নেতৃত্বে এই লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

বরগুনার দায়িত্বরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কনটিজেন্ট কমান্ডার ও তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, তালতলী বাজারের মডেল মসজিদের রাস্তার উপরে পশ্চিম পাশে বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স নামে একটি পুরাতন লোহা ক্রয় বিক্রয়ের দোকান মো. সাইফুর রহমান সাগর ও মোঃ আলাল নামে দুই ব্যক্তি ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট ঠংপাড়া গ্রামের মৃত আলম মৃধার পুত্র  তালতলী উপজেলা যুবদলের সদস্য মোঃ রাজু মৃধা, তালতলী বন্দরের মো. আব্দুর রহমানের পুত্র  কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকন  মামুন ও মোমেসেপাড়া গ্রামের বেলায়েত এর পুত্র তালতলী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি  নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রায় ২৫/৩০জন লোক নিয়ে দোকান ভাংচুর করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল মালামাল লুট করে নিয়ে গিয়েছে। যার অনুমান ক্রয় মূল্য ১০-১১ লক্ষ টাকা।  লুটতরাজকারী বাহিনীর ভয়ে ভুক্তভোগীরা রাস্তা ঘাটে উঠতে পারেন না। রাস্তা ঘাটে উঠলে যে কোন সময় তাদেরকে খুন জখম করবে বলে হুমকিধামকি দিয়ে থাকেন। এক পর্যায়ে লুটপাটে নেতৃত্বদানকারীরা ভুক্তভোগীদের ডেকে এক লক্ষ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন আর কোন টাকা পাবি না। 

ভুক্তভোগী মো. ফাইজুর রহমান সাগর বলেন, হামলাকারীরা তালতলী উপজেলা যুবদল ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা আমার এত বড় ক্ষতি করেও ক্ষান্ত হননি, এখনো বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার দিন আমি বরিশালে ছিলাম। এখনো বরিশালে আছি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

অভিযুক্ত মো. রাজু মৃধা জানান, ঘটনার সময় আমি এই হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। যেহেতু মালামাল লুটপাট হয়ে যাচ্ছে তাই লুটপাট বন্ধ করে মালগুলো আমরা ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেছি। বিক্রি করে অর্ধেক টাকা মালিকপক্ষকে দিয়েছি। বাকি অর্ধেক টাকা হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য খরচ করা হয়েছে।

বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফাইজুল মালেক সজীব বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ইউনো অথবা নৌবাহিনী কাছে অভিযোগ দেওয়ার আগে আমার কাছে অভিযোগ দিলে আমি সাথে সাথে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। এখোনও যদি কোন লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো

এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।