জীবননগরে শহীদদের স্মরণে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জীবন নগর শহরের মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় আন্দোলনে ছাত্রদের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ ছাড়া আন্দোলনে যারা আহত তাদের চিকিৎসার জন্য দাবি করেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেন জীবননগর ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান তিনি বলেন,স্বৈরাচার সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পাখির মতো গুলি বর্ষন করেছে। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এই সব নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ গুম করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তাদের পরিচয় বা তাদের কবর কোথায় দেওয়া হয়েছে তার কিছুই জানায়নি। অতি দ্রুত তাদের সন্ধান দিতে হবে। তা না হলে সেই সব নিহত শিক্ষার্থীদের বাবা-মাকে বলতে হবে তাদের কবর কোথায় দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা তাদের কবরের পাশে গিয়ে দোয়া-মোনাজাত করবে। অতি দ্রুত যদি তাদের সন্ধান না দেওয়া হয় তাহলে এই শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনের নামবে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেন জীবননগর ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি সাখাওয়াত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আজ এক মাস পূর্ণ উপলক্ষে এই শহীদি মার্চ। আর এই শহীদি মার্চের মাধ্যমে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি কৃষক থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেন কোন বৈষম্য না থাকে। এবং সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা একজন শ্রেষ্ঠ নাগরিক হতে হলে কি ধরনের কাজ আমাদের করতে হবে আপনারা বিবেচনা করে আমাদেরকে তৈরি করবেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আব্দুল্লাহ, যুথি, সাকিব, তাহসান প্রমুখ।
