রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাসানুজ্জামান হাসান, কালীগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

জিরো থেকে হিরো মিজান

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস থেকে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক

হাসানুজ্জামান হাসান, কালীগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস থেকে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক

নজরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের সামান্য একজন এপিএস থেকে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মিজান। তিস্তা নদীর পাশে অবৈধভাবে তৈরি করেছেন বালু মহল। রয়েছে নামে বেনামে ব্যাংক ব্যালেন্স। মালিক হয়েছেন শত একর জমির। বিদেশেও পাচার করেছেন বিশাল অঙ্কের টাকা।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান। মিজান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির সুবাদে হয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশ থেকে পালিয়ে এখন স্ত্রী তমা ও তার সন্তানসহ আমেরিকাতে আছেন মিজান। লালমনিরহাটের তুষভান্ডার ইউনিয়নের বাণিনগরে তার শ্বশুরবাড়ি। মিজানের স্ত্রী তমা এলাকায় ফার্স্ট লেডি বলে পরিচিত। কালীগঞ্জের কাকিনা মহিপুর এলাকায় মিজানের স্ত্রী তমার গাড়িতে পাচার করা হতো মদ, ফেনসিডিলসহ মাদক। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিপুল মাদকসহ গাড়িটি আটক করে ডিবি পুলিশ।

ট্রাকের হেলপার থেকে কোটিপতি ‘শ্রমিকলীগ নেতা’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এপিএস মিজানের শ্যালক মাদক নিয়ন্ত্রণ করত।গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, এপিএস মিজানের ক্যাশিয়ার বলে পরিচিত রেল কর্মচারী জাকির হোসেন। এ ছাড়াও সোনা পাচারের ব্যবসা ব্যবসা রয়েছে তার। এই সোনা পাচারে তার পার্টনার হিসেবে ছিলেন মহিষখোচা কলেজের শিক্ষক সেফাউল। মিজান প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গেও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ আছে। তার সহযোগী ছিলেন প্রশ্ন চক্রের হোতা এমডি মিজান।

অভিযোগ রয়েছে, মিজান অনামিকা ট্রেডার্স এর নামে মহিষখোচা তিস্তা বাঁধ নির্মাণে ১০ কোটি টাকার কাজ জোর করে টেন্ডারে নিয়ে নিম্নমানের কাজ করেন। যা ৬ মাসেই লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে আদিতমারীর মহিষখোচা গ্রামে গেলে গ্রামবাসীরা জানান, হঠাৎ মিজান শত শত কোটি টাকার মালিক। তার বাবার জমি নদীতে ভেঙে যায়। তাদের তেমন কিছু ছিল না। এখন অঢেল জমির মালিক তার পরিবারের লোকজন। তারা জিরো থেকে হিরো হয়েছেন।

জানা গেছে, সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস থাকার সময়ে আদিতমারীর মহিষখোচার কচুমুড়া এলাকায় ২০ বিঘা, বারঘরিয়া বালুঘাটে ১৫ বিঘা, গোবধন চরে ৫০ বিঘা জমি কেনেন তিনি। মহিষখোচা বাজারে কোটি টাকার ওপরে জমি কেনেন। মন্ত্রীর এপিএস হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর করা হতো। তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে ১৫ বছরে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মিজান।

অপরদিকে মিজানের ছোটভাই এরশাদুল হক চাকরি করেন হাতীবান্ধায় ভূমি অফিসের পিয়ন পদে। ২০ তম গ্রেডে চাকরি করে ১০ হাজার টাকা তার বেতন। বড়ভাই মন্ত্রীর এপিএস হওয়ায় চাকরি না করেও তুলতেন বেতন। পিয়ন থেকে তিনিও এখন কোটি টাকার মালিক। মহিষখোচা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনে বড় বড় গোডাউনে রয়েছে কোটি টাকার ভুট্টা।

এসব বিষয়ে মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কুড়িগ্রামের দুদক উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মিজানের নামে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ হয়েছে। প্রশাসন কাজ করছে। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!