বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাইওয়ে থানার ৩টি পিকআপ গাড়ি, ১টি প্রাইভেট কার এবং ৫টি সরকারী মোটরসাইকেল। লুট করা হয় থানার অস্ত্র ও গুলি। আহত হয় ৩০ জন পুলিশ সদস্য। থানা ভবন ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ায় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের পাঁচলিয়া এলাকায় ২তলা একটি ভবন ভাড়া নিয়ে শুরু হয় হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার কার্যক্রম। এখনো সেখানেই থানার জরুরি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
থানার সকল গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় হাইওয়ে থানার আওতাধীন ৯৬ কিলোমিটার মহাসড়কে মাত্র একটি পুরাতন পিকআপ দিয়ে চলছে মহাসড়কের টহল কার্যক্রম। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ৯৬ কিলোমিটার মহাসড়ক। ফলে মহাসড়কে বাড়ছে চুরি ছিনতাই ও মাদক চোরাচালানের শঙ্কা। অন্যদিকে মহাসড়কে কোনো পুলিশ সার্জেন্ট না থাকায় সড়কে বেপরোয়াভাবে থ্রীহুইলার চলাচল করছে। এতে মহাসড়কে বাড়ছে দূর্ঘটনার প্রবনতা।
হাঁটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ওয়াদুদ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ও গুলি লুট করা হয়। ফলে থানার কার্যক্রম চলমান রাখতে পাঁচলিয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসা নেওয়া। আপাতত এইখান থেকেই আমাদের জরুরি কার্যক্রম করা হচ্ছে। যেখানে আমাদের অন্তত ৩টি টহল পিকআপ প্রয়োজন সেখানে ১টি পুরাতন পিকআপ নিয়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আবার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে হাঁটিকুমরুল হাইওয়ে থানার টহল এবং অন্যান্য কার্যক্রম।