ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪

৮ ইউপি সদস্যকে চেয়ারম্যানের হুমকি

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম

৮ ইউপি সদস্যকে চেয়ারম্যানের হুমকি

চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অপসারণ চাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সদস্যকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান। এছাড়াও ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জোর করে মীমাংসাপত্রে দুই সদস্যের স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ৮ ইউপি সদস্য। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

অভিযোগে জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণ চেয়ে পরিষদের ১০ জন সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। তদন্তের বিষয়টি জানার পর চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাবাজ আলী ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলামকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর নেন। এসময় তিনি ইউপি সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইউপি সদস্যরা।ইউপি সদস্য সাবাজ আলী বলেন, তার বাড়ি আদাবাড়ীয়া। রাত ১২ টার দিকে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান সঙ্গে লোকজন নিয়ে গিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুুলে নিয়ে হাটউধুনিয়া যায়। সেখানে আরিফুল মেম্বরের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের দু’জনের কাছ জোর করে মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর নেয়। আরেক ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, তারা মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর দিতে চাননি। রাত দুইটার সময় চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান তার বাড়িতে লোকজন নিয়ে গিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নেন।

প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন বলেন, ওই চেয়ারম্যান জোর করে পরিষদের দুই সদস্যের কাছ থেকে মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তার অপসারণ চাওয়ায় চেয়ারম্যান তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তারা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জোর করে তিনি স্বাক্ষর নেননি। পরিষদের ৬ জন মেম্বরকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তিনি বা তার কোন লোকজন ইউপি সদস্যদের ভয়ভীতিও দেখায়নি।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল করিম বলেন, লিখিত অভিযোগ নিয়ে ইউপি সদস্যরা থানায় এসেছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা: নাজমুন নাহার বলেন, তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিংয়ে আছেন। বিষয়টি তিনি দেখবেন।
 

আরবি/জেডআর

Link copied!