ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সাড়া ফেলছে বাগেরহাটের ভাসমান মাচায় সবজি চাষ

মেহেদী হাসান নয়ন, বাগেরহাট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ১০:৩১ পিএম

সাড়া ফেলছে বাগেরহাটের ভাসমান মাচায় সবজি চাষ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কখনও ডুববে না, সেচের প্রয়োজন পড়বে না, কীটনাশক দিতে হবে না, এমন সবজি ক্ষেত ছিল কৃষকদের স্বপ্নে। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে পরিণত করছেন বাগেরহাটের কৃষি বিভাগ।

এ জেলার নিম্নঅঞ্চল প্রায় সারা বছরই জলাবদ্ধতা থাকে এবং বন্যা ও বৃষ্টির জন্য যেসব এলাকার ক্ষেত পানিতে ডুবে থাকে, সেসব জায়গায় অর্ধশতাধিক ভাসমান মাচাসহ বেডে বিভিন্ন প্রকার সবজি ও মশলা আবাদ করেছেন ফকিরহাটের কৃষকরা। কৃষি বিভাগের প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাশের উপর মাচা সহ কলাগাছের ভেলায় ও কচুরিপানা দিয়ে বেড করে দিয়েছেন কৃষি বিভাগ। 

ভাসমান এসব বেডে আবাদ হচ্ছে লাউশাক, জিংগে, ঢেঁড়স, তরমুজ,লালশাখ ও বিভিন্ন প্রকার সবজি। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে যথেষ্ট লাভ হওয়ার কারণে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। কম জমিতে বেশি ফসল আবাদ সম্ভব হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কৃষকরা।

কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে- তৈরি কারা ভাসমান মাচায় অল্প কিছু মাটি, জৈবসার, কচুরি দিয়ে কীটনাশক না ব্যবহার করে, বিভিন্ন প্রকার সবজির ভালো ফলন হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন তারা।

জলাবদ্ধতা এবং বন্যাদুর্গত এলাকার কৃষকরা যাতে এভাবে সারা বছর সবজি চাষ করে উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করতে পারেন। 

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফকিরহাটের চাষীরা কখনও ভাসমান বেডে সবজি চাষ করতো না। এই এলাকায় নতুন এই প্রযুক্তি কৃষকদের বার বার বোঝানো হয়েছে। এতে কিছু চাষী ভাসমান বেডে সবজি চাষ করতে রাজি হয়। এবছর তাদের এসব ভাসমান বেডে অনেক ভাল সবজি উৎপাদন হয়েছে। এতে অন্য কৃষকদের মাঝেও আগ্রহ দেখা দিয়েছে ভাসমান সবজি ক্ষেত তৈরি করার।

আরবি/জেডআর

Link copied!