শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম

দুদকের জালে আটকা মোংলা বন্দরের কর্মচারী ও সাবেক কর্মকর্তা

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম

দুদকের জালে আটকা মোংলা বন্দরের কর্মচারী ও সাবেক কর্মকর্তা

বাম পাশে কর্মচারী নুরুল ইসলাম এবং ডান পাশে সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) শাহিনুর আলম। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ হলেও অদৃশ্য কারণে সম্পত্তি শাখায় চাকুরী করতেন নুরুল ইসলাম নামের এক কর্মচারী। আর সেখানে বসেই নানা রকম দুর্নীতি আর অনিয়ম করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তিনি বন্দরের শিল্প এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন ফ্যাক্টরির ড্রেজিংকৃত বালু রাখার ডাইকের ব্যবস্থা করে দেওয়া থেকে শুরু করে নিয়োগ বাণিজ্য ও বন্দরের বিভিন্ন প্লট বা ভূমি বরাদ্দ দিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করেছেন। এমনকি পুরাতন চালনা পোর্টের জায়গা অনিয়মের মাধ্যমে একটি শিপিং এজেন্টকে বরাদ্দ দেয়াসহ অবৈধ স্থাপনা থেকে উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে প্রতি মাসে টাকা আদায় করা যেন তার কাছে ছিল রুটিন ওয়ার্ক। আর তার এ কাজে কোন সিনিয়র কর্মকর্তাদের তোয়াক্কা করতেন না তিনি। কারণ তাঁর মাথার ওপর সব সময় ছায়া হিসেবে থাকতেন সম্পত্তি বিভাগের প্রধান সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহিনুর আলম। সে কারণেই দুর্নীতি করে মোটা অংকের অর্থ বানিয়েছেন নুরুল ইসলাম। তবে চতুর ওই কর্মচারীর অবৈধ পন্থায় উপার্জন করা কাড়ি কাড়ি টাকা কোথায় রেখেছেন বা তা দিয়ে কোথায় সম্পদ গড়েছেন কেউ জানেননা। তবে তার এই অবৈধ টাকার সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

ঢাকার সেগুনবাগিচার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলা হওয়ার পর তাদের এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে চিঠি এসেছে। গত ১১ আগস্ট দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত পাঠানো ওই চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। ওই চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২১/২০২৪ নম্বরের মামলায় অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়।

দুদক থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ নুরুজ্জামান বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টেম্বর) দুপুরে বলেন, এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কর্ম) মোঃ সালেহ্ উদ্দিন কবিরকে বুধবার (১১সেপ্টেম্বর) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫কার্য দিবসের মধ্যে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর লাইব্রেরিয়ান নুরুল ইসলাম ও সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) শাহিনুর আলমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলেন, রাজশাহী সদরের বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম ২০১৯ সালে মোংলা বন্দর স্কুল এন্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ পান। মাস ছয়েক সেখানে চাকরী করার পর অস্থির নুরুল সেখান থেকে এক লাফে চলে আসেন সুবিধাজনক স্থান সম্পত্তি শাখায়। দুই বছর সম্পত্তি শাখায় আসীন থেকে লুটপাট চালিয়ে দুর্নীতি করে দুই হাত ভরে কামিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। তার এই দুর্নীতির আশ্রয় প্রশ্রয়ে পর্দার আড়ালে ছিলেন তৎকালীন বন্দরে কর্মরত পরিচালক (প্রশাসন) শাহিনুর আলম। তার মদদেই ওই কর্মচারী বেপরোয়া হয়ে কেউকে তোয়াক্কা করতেন না। তার দুর্নীতির বিষয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে ওই পরিচালককে দিয়ে চাকুরী খেয়ে দেয়ার ভয় দেখাতেন। 

এদিকে দুর্নীতি আর অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি মানতে নারাজ বন্দরের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নুরুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, যে বেশি কাজ করেন, তারই দুর্নাম হয়, এটাই স্বাভাবিক। বিগত দিনে যাদের বেআইনি কাজ করতে দেইনি, তারাই দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন।

আর বর্তমানে আইসিটি মন্ত্রনালয়ে কর্মরত মোংলা বন্দরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) শাহীনুর আলমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি কল কেটে দেন। পরে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি

আরবি/জেডআর

Link copied!