ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মেঘনায় ১০ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৮ মাঝি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম

মেঘনায় ১০ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৮ মাঝি

ছবি, সংগৃহীত

বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাতিয়াসহ তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রবন্দর গুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার সন্ধায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে দশটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১৮ জন জেলেকে নদীতে থাকা মাছ ধরা ট্রলারের অন্য জেলেরা জীবিত উদ্ধার করেছে। এখনো ৫টি ট্রলারসহ ৮ মাঝি  নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়া থানার ওসি‍‍` (তদন্ত) মোঃ মনিরজ্জামান।  

শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মেঘনা নদীর কয়েকটি এলাকায় এ সব ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিকেরা হলেন বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ জেলেদের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার। সাগর উত্তাল থাকায় বিকেল থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করে। ঘাটে ফেরার সময় ট্রলার গুলো বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে মেঘনা নদীর মোহনায় বিভিন্ন সময়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলার গুলো কিছু জেলেকে উদ্ধার করে। তবে জেলেদের মাছ ধরার জাল ট্রলারসহ নদীতে তলিয়ে যায়।

এছাড়া মেঘনা নদীতে আরও কয়েকটি ট্রলার রয়েছে। সেগুলোর এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।    

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, তাৎক্ষণিক কিছু জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ৫টি ট্রলারসহ ৮ মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

আরবি/এস

Link copied!