ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

টোল নিয়ন্ত্রণে নিতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ , আহত ৪

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম

টোল নিয়ন্ত্রণে নিতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ , আহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ইজারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদর চৌমুহনী শাপলা চত্বর এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়নস্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন-মো. মোশাররফ হোসেন (২২), মান্না (২২),ইব্রাহিম ও আরেক জনের নাম জানা যায়নি। মোশারফ পৌর ছাত্র দলের ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি। মান্না ৫নং
ওয়ার্ড ছাত্র দলের সদস্য এবং ইব্রাহিম যুবদলের সদস্য বলে জানা গেছে। তবে জানা গেছে, মোশারফের অবস্থা গুরুতর। সে চট্টগ্রাম চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ইজারা আদায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছাত্র দলের দু’গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে। আবার কেউ কেউ বলছে ফেসবুকের লিখা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৪জনের অধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কেউ কেউ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে। ৪জনের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশংকাজনক তাই তাদেরকে খাগড়াছড়ি সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ইশতিয়াক আহমেদ বলেন,আধিপত্য বিস্তার ও ইজারা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আবার কেউ কেউ বলছে ফেসবুকের লিখা নিয়ে এই সংঘর্ষ বেধেঁছে। এতে ৪জনের ও বেশি আহত হয়েছে। তার মধ্যে দু’জনের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় তাদেরকে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে ২জনের শাররিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে।

বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ওসি জানান, শুক্রবার রাতে মোশারফের পিতা তসলিম বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ কওে থানায় একটি অভিযোগ করে। তবে এব্যাপারে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলেঅচনা করে মামলা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে জানতে পৌর ছাত্রদল সভাপতি মানিক ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হুমায়ুনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তাদেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরবি/জেডআর

Link copied!