নড়াইলের কালিয়ায় নাসিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় রঘুনাথপুর, আমবাড়িয়া ও লক্ষিপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে রঘুনাথপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত নাসিমের মা তানিয়া সুলতানা জুনাকী, নিহতের নানি নাহার সুলতানা, নিহতের চাচাত ভাই মেহেদী হাসান রাজু, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, সুবেদার তমজিদ শেখ, শওকত হোসেন, আলিম শেখ প্রমূখ। নিহত নাসিমের মা বলেন, আমার ছেলে গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পরে চাঁনপুর মাদ্রসায় আরবি পড়তে যায়। আরবি পড়ে ফেরার পথে চাঁনপুর গ্রামের চয়ন কাজি কাইয়ুম সর্ধার সহ ৬/৭ জন সন্ত্রাসী আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে আমি ওদের ফাঁসি চাই।
নিহতের চাচাত ভাই মেহেদী হাসান রাজু বলেন, প্রথমে আমরা শুনি আমার ভাই মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় মারা গেছে। পরে আমরা আস্তে আস্তে জানতে পারি এটা কোনো দূর্ঘটনা ছিলানা। এটা ছিলো পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। এটা যদি দূর্ঘটনা হতো তাহলে মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হত, আমার ভাইয়ের শরির ছুলে ছিলে যেত অন্য যার সাথে দূর্ঘটনা ঘটত তাহলে সেটাও ক্ষতিগ্রস্ত হত। একই মোটরসাইকে আমার ভাইয়ের সাথে আর একজন ছিলো তারও কিছু হয়নি। শুধু মাত্র আমার ভাইই মারা গেল? আমার ভাইয়ের শরিরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, মাথায় কোপের চিহ্ন রয়েছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। এসময় বক্তারা আরও বলেন, আমরা নাসিমের লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে আসি নায়, নৃশংস ভাবে যারা নাসিমকে হত্যা করেছে আমরা তাদের ফাঁসি চাই।
নাসিমের সাথে একই মোটরসাইকেলে থাকা চাঁনপুর রহমানীয়া মাদ্রাসার হুজুর আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, ২০ দিনের মত হবে নাসিম আমার কাছে আরবি পড়তে যাই। ঘটনার দিন আরবি পড়া শেষে বাড়ি আসার জন্য আমি নাসিমের সাথে আসি। চাঁনপুর তানজিল শেখের বাড়ির কাছে পৌছালে দুইটা মোটরসাইকেল আমাদের ঘিরে ফেলে এসময় তারা মোটরসাইকেলের হেন্ডেল দিয়ে আমাদের বাড়ি মারে তখন আমরা পড়ে গেলে ওরা নাসিমকে হত্যা করে। পরে আমার গলায় ছুরি ধরে বলে তুই যদি এসব কথা কেউকে বলিস তাহলে তোকেও আমরা মেরে ফেলব। এ ভয়ে প্রথমে আমি কিছু বলিনি।
কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামিম উদ্দিন বলেন, এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।