চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে গত শনিবার থেকে টানা ভারী বর্ষণে মাঠের ফসল ও মাছের পুকুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। অনেকের ফসলি জমিতে এখনো পানি জমে আছে। এতে ধান, পেঁয়াজ, মাসকলাই ও সবজিতে পচন ধরার সম্ভবনা আছে।
জীবননগর উপজেলার বাকা ইউনিয়নের পাথিলা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মো.মকসেদ আলী বলেন, গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টি কারনে তাঁর দুই বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ভাবে যদি পানি হতে থাকে তা হলে ধানের চারা পচে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের কৃষক হায়াত আলী বলেন, তাঁর তিন বিঘা জমিতে মাস কলাই ছিল এই বৃষ্ঠির কারনে জমিতে পানি বেদে গেছে এবং কিছু গাছে পচন দেখা দিয়েছে । এর মধ্যে যদি রোদ না উঠে আবার বৃষ্টি হয় তা হলে যতটুকু আছে তা–ও পচে নষ্ঠ হয়ে যাবে।
হরিহরনগর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,দুই দিনের বৃষ্ঠির কারনে তার পেয়াজের জমিতে পানি বেধে গেছে যার ফলে পেঁয়াজের চারা গুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন,গত দুই দিনের বৃষ্টিতে আমার মাছের পুকুর ডুবে গেছে। পুকুরের সমস্ত মাছ বিলের দিকে চলে গেছে। তাঁর আশঙ্কা, পুকুরের সব মাছ ভেসে চলে গেছে। এবার মাছ চাষে তাকে লোকসান গুনতে হবে।
জীবননগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্যগুলো এখনও পায়নি। কর্মকর্তারাও মাঠপর্যায়ে গেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সার্বিক তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, এই বৃষ্টির কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মাস কলাই। তবে বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে গেলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না।