ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বগুড়ায় পাটের ফলন বাড়লেও পানি সংকটে কমেছে চাষ

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৯:২০ পিএম

বগুড়ায় পাটের ফলন বাড়লেও পানি সংকটে কমেছে চাষ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচ বাদে দ্বিগুণ লাভ গুনছেন চাষিরা। বগুড়ায় চলতি মৌসুমে পাটের ফলন বাড়লেও মাঠে পানি সংকটে চাষাবাদ কমেছে। শিবগঞ্জ উপজেলায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। পাট জাগ দেয়ার মতো পানি না থাকায় পুকুর ভাড়া নেওয়া হতো৷ এ বছর মাছ চাষ করা পুকুর-জলাশয় ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে করতোয়া ও গজারিয়া নদে পানি নাই। যেকারণে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষাবাদ নির্ভর কৃষকেরা।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, চলতি বছর ১৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় ১০ হেক্টর জমিতে চাষ কম হয়েছে। উপজেলার রায়নগর, মোকামতলা, দেউলী, সৈয়দপুর ও ময়দানহাটা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়। বাকি ইউনিয়নগুলোতে কৃষকেরা অনেক কম পাট চাষ করেন।

রোববার শিবগঞ্জের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তারা পাটসহ সকল ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে পাট জাগ দেয়ার মতো পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। সে কারণেই পাট চাষাবাদে আগ্রহ কমছে।

কয়েকজন কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে পাটের ফলন ভালো পেয়েছেন। বাজারে পাট বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে। সেখানকার উৎপাদিত পাট জমি থেকে কেটে জাগ দিতে হয়। কিন্তু মাঠে পানির তীব্র সংকট। করতোয়া ও গজারিয়া নদে বর্ষার মৌসুমেও পানি নাই। এতে চাষাবাদ কমে যাওয়াসহ উৎপাদন নিয়েও শঙ্কা আছে।

মোকামতলা এলাকার কৃষকেরা বলেন, মাঠে যে পরিমাণ পানি আছে তাতে পাট জাগ দেয়া যায় না। পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে হয়। মাছ চাষ করা পুকুর কেউ ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। এজন্য পাট চাষের আগ্রহ কমছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!