মেহেরপুরের মরিচ চাষিদের কাছে এটি লাভজনক হলেও, এবার মোটা অঙ্কের টাকা লোকসানের হাতছানি দিচ্ছে মরিচ চাষ। একদিকে তীব্র্র গরম ও অতিবর্ষণের কারণে পচা রোগ লেগে মরিচ গাছ শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। গাছ থেকে ঝরে পড়ছে মরিচ। এসব ক্ষেতের মরিচ বাজারে তুললে তেমন দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। তবে অফিস বলছে, পচনরোধে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের হিসাবে জেলায় এবার মরিচের আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে; যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০০ হেক্টর বেশি। গেল বছর ভালো লাভবান হওয়ায় এবার চাষিরা বেশি পরিমাণে মরিচের আবাদ করেন। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও গরমের কারণে কপাল পুড়েছে মরিচচাষিদের। মরিচের চারা রোপণের সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছ ভালো হয়েছিল। কিন্তু জমি থেকে মরিচ তুলে বাজারজাত করার এ মুহূর্তে বিরূপ আবহাওয়ায় গাছে দেখা দিয়েছে পচা রোগ। শুকিয়ে মরে যাচ্ছে মরিচ গাছ।
সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মরিচচাষি জাহিদ জানান, এবার ২৩ শতাংশ জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। বর্তমানে অধিকাংশ মরিচ গাছে রোগ লেগে কুঁকড়ে যাচ্ছে। ফুল-ফল কিছুই টিকিয়ে রাখতে পারছেন না। মরিচ গাছে কোনো ওষুধ স্প্রে করে কাজ হচ্ছে না। এবার বাজারে মরিচের দাম খুব ভালো থাকায় গাছ টিকিয়ে রাখতে বিভিন্নভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে।
গাংনী উপজেলার মরিচচাষি রবিউল জানান, এ বছর গাছ খুব ভালো হয়েছিল। মাসখানেক মরিচ বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় গাছ মরে যাচ্ছে আর মরিচও শুকিয়ে যাচ্ছে। বাজারে মরিচের দাম ভালো কিন্তু মরিচ ক্ষেত থেকে পচা ও শুকনো মরিচের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা জানালেন হুদাপাড়ার লিপ্টন। তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছিলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচ গাছের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। মরিচ গাছ টিকিয়ে রাখতে জৈবসার ব্যবহারসহ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। শীতের ভাব এলে যে গাছ টিকে যাবে সেখান থেকে চাষিরা মরিচের ভালো ফলন পাবেন। বাজারে মরিচের ভালো দাম আছে। ফলে চাষিরা লাভবান হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :