মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল এলাকায় বনের ভিতরে একটি গ্রামে বাড়িঘর ঘেরাও করে চোলাই মদ সহ চার নারী মাদক কারবারিকে ধরে সেনাবাহিনী ও পুলিশে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ওই বাড়িগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করে। পরে তারা মাদক কারবারিদের আটক করে।
আটককৃত মাদক কারবারিরা হচ্ছে গায়রাবেতিল গ্রামের মহেন্দ্র কোচের তিন কন্যা কমলা রানী, সন্ধ্যা রানী ও গীতা রানী এবং সুভাষ কোচের কন্যা দিপালী রানী।
এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া, গায়রাবেতিল, বংশীনগর, পেকুয়া, মোথারচালা, বালিয়াজান এবং আজাগানা ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা পলাশতলী, আজগানা ও খাটিয়ারঘাট এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে চোলাই মদ তৈরী হয়ে আসছে। এলাকার একটি সিন্ডিকেট চক্র কোচ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের ব্যবহার করে চোলাই মদ তৈরী করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা গায়রাবেতিল এলাকায় মাদক নির্মুলের জন্য বিভিন্ন ভাবে অভিযানে নামে। রোববার গায়রাবেতিল গ্রামের অনিল ও মহেন্দ্র কোচের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি ঘেরাও করে বাংলা ও চোলাই মদ উদ্ধার করে ও ৪ নারী মাদক কারবারিকে আটক করে। এ সময় ঐ এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
পরে স্থানীয়রা মির্জাপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে চার নারী মাদক কারবারিকে তাদের হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি।